ছাত্র-জনতার বিক্ষোভের মুখে তৃণমুলের নেতাকর্মীদের রেখে পতিত স্বৈরাচারি সরকারের প্রধানসহ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর জনদাবির মুখে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় ছাত্রলীগকে।সারাদেশে এই আওয়ামী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কয়েকশো মামলা দায়ের করা হলেও ব্যতিক্রম রয়েছে পার্বত্য রাঙামাটি জেলা।
এই জেলাতে আওয়ামীলীগের আওয়ামীলীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখনো পর্যন্ত বীরদর্পেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক কর্মকান্ড।
তারই ধারাবাহিকতায় রাঙামাটির বিভিন্ন স্থানে দেয়াল লিখনসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সরব কর্মকান্ড পরিচালনা করছে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
সম্প্রতি শহরের বিভিন্ন স্থানে দেয়াল লিখন লিখে নিজেদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের জানান দেয় তারা। রাতের অন্ধকারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, পলাতক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাতে আস্থা ও জয় বাংলা শ্লোগান লিখে দেওয়ালে দেওয়ালে চিকা মারে।বিষয়টি নজরে আসায় ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী মঙ্গলবার রাতে নিজেরাই উক্ত নিষিদ্ধ সংগঠনের দেয়াল লিখন রং দিয়ে মুছে দেয়।
রাঙামাটির রাবিপ্রবি ছাত্রদল নেতা ও রাঙামাটি পৌর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে দেয়ালে লিখা এইসব নিষিদ্ধ শ্লোগান মুছে দেয়। এসময় সদর থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক মোঃ শরীফুল আলম, ২নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক আবু নায়েম সাদ্দাম, পৌর বি.এন.পির সদস্য সোহাগ মিয়া, যুবনেতা আজগর, ছাত্রনেতা মোঃ সাজ্জাদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলতঃ কিছু অপরাজনীতিবিদের প্রশ্রয়ে এবং তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার রাখায় আওয়ামীলীগ ও তাদের দোসরা অবলীলায় নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান করছে।
হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেও নির্দিদায় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার পাশাপাশি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালানোর সাহস পাচ্ছে। এসময় ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছেন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.