“শয়তান শিকার” অভিযানের অংশ হিসেবে পার্বত্য রাঙামাটিতে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত পর্যন্ত সময়ে দুই জনকে আটক করার তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাঙামাটি কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহেদ উদ্দিন।
তিনি জানান, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জেলা শহরের বনরূপা কাটাপাহাড়ের নিজবাসা থেকে মো. সাইদুজ্জামান পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাপ্পু রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এবং রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী। সে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সংগঠক ও সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।
অপরদিকে বুধবার রাতের বেলায় শহরের তবলছড়ির স্বর্ণটিলা এলাকায় অভিযান দিয়ে পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য ইয়াছিন ভান্ডারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন ওসি।
এক প্রশ্নের জবাবে ওসি জানান, অপারেশন ডেভিল হান্ট এর আওতায় অভিযান পরিচালনা করে শুরুর দিন থেকে বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত সর্বমোট ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে।
অপরদিকে, রাঙামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহামেদ জানিয়েছেন, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো।
এদিকে কোতয়ালী থানার ওসি কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যানুসারে বুধবারের দুইজনসহ রাঙামাটিতে শয়তান শিকার অপারেশনে সর্বমোট ১৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে, রাঙামাটি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মনছুর আলী, রাঙামাটি সদর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি শাহজালাল মাঝি, ৯নং ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক মাওলা মিয়া, কাউখালী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি বিকাশ কান্তি দাশ, উপজেলা ছাত্রলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জাকির হোসেন, ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাফর আহম্মদ, ঘাগড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী শাহিন হাওলাদার, ঘাগড়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইরফান আলীর নাম জানাগেছে।
অন্য এক খবরে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় চলমান যৌথ অভিযানে নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আটক করা হয়েছে ১৩ জনকে।
মঙ্গলবার রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, থানা পুলিশ ও নৌ পুলিশের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আটকদের মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে।
বুধবার সকালে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আটকদের মধ্যে সুধারাম থানা এলাকার তিনজন, হাতিয়ার আটজন, কোম্পানীগঞ্জের একজন এবং চাটখিলের একজন রয়েছে। তিনি বলেন, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইবাংলা/ বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.