গাজীপুরের বাসিন্দা রাসেল বগুড়া থানার গণহত্যা মামলায় আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক

গাজীপুরের বাসিন্দা তোফজ্জল হোসন রাসেল নামের এক ব্যবসয়ীকে বগুড়া থানায় করা একটি গণহত্যা মামলায় আসামি করে হয়রানির মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠেছে।

Islami Bank

ভুক্তভুগি তোফাজ্জল হোসেন রাসেলের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতবছর জুলাই আগস্ট পরবর্তী ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে বগুড়া সদর থানায় একটি গণহত্যা মামলা যাহা এফআইআর নং ৭৩, জিআর নং ৯৯৪/২৪, ধারা- ১৪৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/ ৩০৭/১১৪/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় গাজীপুরের বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীকে ১৪৮ নাম্বার আসামি করা হয়। এটা আইনের অপব্যবহার করে রাসেলের বিরুদ্ধে মামালা করে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন…বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া সদর থানায় আসামী করা তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ি গাজীপুরের পূর্ব টঙ্গি থানাধীনর মরকুন এলাকার স্থায়ী বাসিন্ধা, মামলার রুটিনওয়ার্ক অনুযায়ী আসামীর নাম ঠিকানা সঠিকতা যাচাইবাছাই করতে বসবাসরত নিজ থানায় তদন্ত পাঠাতে হয়। তারই প্রেক্ষিতে টঙ্গি থানায় তদন্ত পাঠানোর সাপেক্ষে এএসই সাহাদাত তদন্ত করেন। এবং ভুক্তভুগির সঠিকতা পাওয়া যায়। তদন্তকারি অফিসারের বরাত থেকে জানা যায় তোফাজ্জল হোসেন রাসেল ফিড মেশিন ওয়ার্ল্ড লিমিটেড এর সতত্যাধিকার।

পুলিশ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের কোন বিরুপ মন্তব্য নেই। সে একজন পরিচিত ব্যবসায়ী। স্থানীয়দের বরাতে আরও জানা যায়, যে ব্যক্তিকে এই ধরণের মিথ্য ও হয়রানিমূলক মামলায় আসামি করা হয়েছে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোন ধরণের সখ্যতা বা সংযুক্ত থাকার প্রমাণ আমাদের কাছে নেই এমনকি মামলা তো দুরের কথা কখোনো তার বিরুদ্ধে গ্রাম্য শালিশিতে কোন বিচার আচার হওয়ারও রেকর্ড নাই।

one pherma

প্রতিবেদকের কাছে রাসেল অভিযোগ করে বলেন, বগুড়া সদরের মাটিডালিতে তার মেশিনারিজ ব্যবসা ছিলো এবং ব্যবসা পরিচালনা করার সময় মামলার বাদী মীর শাহে আলম যিনি বগুরা জেলা BNP এর সহ সভাপতি এবং শিবগঞ্জ উপজেলা BNP এর সভাপতি রাসেলের নিকট কয়েক দফা চাঁদা দাবি করেন এবং তারেক রহমান তার বন্ধু বলে হুমকি দিতেন পরবর্তীতে রাসেল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে এই মামলা্র আসামী করা হয় বলে তিনি জানান। এবং টাকার বিনিময়ে মামলার নিষ্পত্তি করে দেয়ার কথা বলে টাকা চাইলে রাসেল বলেন আইনিভাবেই তিনি মামলার নিষ্পত্তি করবেন।

আরও পড়ুন...

আইন বিশ্লেষকরা মনে করেন, এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগে সাধারণ মানুষদের গণহত্যার মতো মামলায় অভিযুক্ত করা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হতে পারে। মিথ্যা মামলায় কোনো ব্যবসায়ীকে জড়িয়ে মামলা বাণিজ্য করা পুলিশ সদস্যদের অবৈধ এবং অশোভন আচরণের চিহ্ন। যদি এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ ধরনের পরিস্থিতিতে সঠিক তদন্ত এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন অনেকে। যাতে নির্দোষ মানুষরা হয়রানির শিকার না হয় এবং সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

গাজীপুরের বাসিন্দা একজন ব্যবসায়ীকে মিথ্য গণহত্যা মামলায় আসামী করে হয়রানির বিষয়ে বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মামলার বাদী ভালো বলতে পারবে। আপনারা মামলার বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, মামলার বিবরণে উল্লেখিত অপরাধে যারা জড়িত না, তাদের সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত অভিযোগপত্র থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে। বগুড়া জেলা পুলিশ সুপারের কাছে এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।

ইবাংলা বাএ

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us