নাটোরের লালপুর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া ছাত্রদল নেতা রুবেল উদ্দিনকে (৩১) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। আজ বুধবার বিকেলে লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে লালপুর থানায় আনা হয়। পুলিশ সুপার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রুবেল উদ্দিন লালপুরের গৌরীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি নাটোর জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। বাগাতিপাড়া থানার এক বিএনপি নেতার বাড়িতে গুলিবর্ষণের মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাঁকে লালপুর থানায় নেওয়া হয়। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের শতাধিক নেতা–কর্মী ও পরিবারের লোকজন গিয়ে থানা থেকে তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যান।
জেলা পুলিশ ও লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গতকাল রাতেই বাগাতিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার চৌধুরী বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে লালপুর থানায় মামলা করেন। মামলায় রুবেল উদ্দিনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন…ওসিসহ ৪ পুলিশ প্রত্যাহার ছাত্রদল নেতাকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায়
এ ছাড়া ১০০ থেকে ১২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ রুবেল উদ্দিনের বোন রুপা খাতুন (২৫) ও ফারজানা ইয়াসমিন (২০) এবং কদিমচিলান ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানাকে (৩১) গ্রেপ্তার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
যৌথ বাহিনী আজ বেলা তিনটার দিকে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর এলাকা থেকে রুবেল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাঁকে বাগাতিপাড়া থানার মামলায় ও লালপুর থানার পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে লালপুর থানায় সংঘটিত ঘটনার জন্য লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক, দায়িত্বরত কর্মকর্তা (উপপরিদর্শক) ও দুই কনস্টেবলকে পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
নাটোরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আমজাদ হোসাইন বলেন, ছিনিয়ে নেওয়া রুবেল উদ্দিনকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গ্রেপ্তার করে আবার পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে আদালতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.