নোয়াখালী সদর উপজেলায় এক কিশোর চালককে হত্যা করে করে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ হত্যাকান্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
আরও পড়ুন…ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম পরিবর্তন চেয়ে
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের ডাক্তার বাজার স্লুইস গেইট খাল সংলগ্ন একটি কবরস্থানের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মো.বাবর হোসেন (১৮) উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম করিমপুর এলাকার মো.সেলিমের ছেলে।
নিহতের দূর সম্পর্কের খালাতো ভাই মো.রাজীব জানান, সাব্বির নামে স্থানীয় এক ব্যক্তির অটোরিকশা ভাড়ায় চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত দিদার। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে তার সাথে আমার শেষ দেখা হয়। ওই সময় তাদের বাড়ির সামনে এক বন্ধুর সাথে তার অটোরিকশার উপর বসে আড্ডা দিচ্ছে। দিদার বলেছিল রাতে তার একটি ভাড়া আছে। কিন্ত কার ভাড়া এ সম্পর্কে কিছু জানায়নি।
এরপর রাত ১০টার পর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। রাত ৩টার দিকে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে ফোন দিলে অপরিচিত এক ব্যক্তি ফোন রিসিভ করে জানায় ফোনটি সোনাপুর জিরো পয়েন্টে রাস্তার ওপর পাওয়া গেছে। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নম্বরে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে দিদার তার অটোরিকশাসহ নিখোঁজ ছিল।
রাজীব আরো জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এক নারী শাক তুলতে গিয়ে উপজেলার ডাক্তার বাজার স্লুইসগেইট খাল সংলগ্ন কবরস্থানের পাশে দিদারের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। একই সময়ে দিদারের বোনেরা ভাইয়ের নিখোঁজের বিষয়ে সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধারের খবর পায়।
আরও পড়ুন…কবরস্থান দখল করে দালান নির্মাণের অভিযোগ
খবর পেয়ে দিদারের অটোরিকশার মালিক সাব্বির এবং আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই। দিদারের গলায় শক্ত কিছু পেঁচানোর আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করছি, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতেই দিদারকে গলায় শক্ত কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসরাম বলেন, নিহত কিশোর অটোরিকশা চালক কিনা জানিনা। তবে আমরা একটা তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি।
ইবাংলা বাএ
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.