আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গন ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে।বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁদের দলীয় কর্মসূচি অব্যাহত রাখছে। দেশের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন ধরনের বাকবিতন্ডা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন,‘দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই বিএনপি গত ৩১ জুলাই ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা পুলিশের প্রতি গুলি ছুঁড়েছে এবং সেই গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন’।
আরও পড়ুন…মধুপুরে তামাক বিরোধী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা একজন পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় বিএনপি অফিসে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করেছে। এবং বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সদস্য যে যুবক মারা গেছেন, ডাক্তার বলছেন যে প্রাথমিক রিপোর্টে বলছে হেড ইনজুরির কারণে অর্থাৎ ইট-পাটকেলের আঘাতে তার মৃত্যু হয়েছে।
বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। তবে বিএনপি লাশ সৃষ্টি করতে চায়, লাশ সৃষ্টি করার অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে।’
দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ড. হাছান বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব যেভাবে উস্কানিমূলক এবং অশোভন ভাষায় কথা বলেছেন এজন্য আপনাদের সামনে কথা বলার জন্য হাজির হয়েছি।
আরও পড়ুন…অস্ত্র বেচাকেনাকালে কিশোর গ্যাংয়ের ৩ সদস্য গ্রেফতার
প্রকৃতপক্ষে বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে দেশে একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির জন্য সময়ে সময়ে গুজব রটানো এবং ক্রমাগতভাবে মিথ্যাচার করা। এই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূল প্রতিপাদ্য। এবং যখন আগস্ট মাস আসে, তাদের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টাগুলো বেড়ে যায়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগস্ট মাস শুরুর আগে গত ৩১ জুলাই ভোলায় বিএনপি যে সেখানে মিছিল সমাবেশ করবে সেটি পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেনি। এরপরও তারা যাতে মিছিল সমাবেশ করতে পারে সেজন্য পুলিশ সহযোগিতা করেছে।
যখন তারা দোকানপাট ভাংচুর করা শুরু করলো এবং পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করলো তখন পুলিশকে টিয়ার গ্যাস ছুঁড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন…১৩৭ কোটি ৩০ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকার চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ
শুধু ইট-পাটকেল নিক্ষেপ নয়, বিএনপি পুলিশের প্রতি গুলি ছুঁড়েছে। বিএনপির ছোঁড়া গুলিতে ভোলায় কর্মরত ওয়াচার কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া একজন পুলিশ সদস্যকে ধরে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে তারা মারধর করে।’
আজকে মির্জা ফখরুল সাহেব উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন কিন্তু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখনো রাস্তায় নামেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের রাজপথ দখল করার কথা আমরা বহু আগে থেকে শুনে আসছি। আমরা সবাই রাজপথে নামলে কি দাঁড়াবে সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন।
আমরা এখনো আমাদের নেতাকর্মীদের সেই আহ্বান জানাইনি। তবে আমি নেতাকর্মীদেরকে অনুরোধ জানাই বিএনপি দেশব্যাপী বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
আরও পড়ুন…শুরু হতে যাচ্ছে সিআইএফটিআইএস-২০২২ মেলা
বিএনপির হরতাল ডাকার সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি অতীতেও হরতাল ডেকেছিলো, তখন দেশব্যাপী যানজট হয়েছে।
হরতাল ডেকে তারা বুঝতে পেরেছে তাদের ডাকে কেউ সাড়া দেয় না। আর আগের মতো তারা অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখার অপচেষ্টা চালালে মানুষই বরং তাদেরকে প্রতিহত করবে।
বিএনপি’র পরবর্তী রাজনৈতিক কর্মসূচি ঠিক কি হবে? আর তার প্রভাব রাজনৈতিক অঙ্গনকে কতটা উত্তপ্ত করবে সেটা হয়তো ভবিষ্যতের সময় বলে দেবে।
ইবাংলা/জেএন/২ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.