জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদৎবার্ষিকী উপলক্ষে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে ঢল নেমেছে সর্বস্তরের মানুষ।
সোমবার (১৫ আগস্ট) ভোরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা জানানো শেষে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ পান আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ, তাঁতি লীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন…সদর হাসপাতালের সিঁড়ি থেকে নবজাতক উদ্ধার
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
অন্যদিকে, পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান।
এর আগে ভোর ৬টা ৩০ মিনিটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অনার গার্ড প্রদান করেন। এরপর ফাতেহা পাঠ এবং দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের নিয়ে আবারও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা।তারপরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুণ সুর।
আরও পড়ুন…বাঙালির আজ শোকের দিন
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোররাতে সেনাবাহিনীর কিছুসংখ্যক বিপদগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
ইবাংলা/জেএন/১৫ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.