বঙ্গবন্ধুর প্রতি ধানমন্ডি ও টুঙ্গীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
ইবাংলা ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় গিয়েছেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর । সেখানে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল রাতে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেন। বিপথগামী সেনাসদস্যদের হাতে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য নিহত হন।
আরও পড়ুন…দেশ যতদূর এগিয়ে যাবে ততদূর বঙ্গবন্ধুর নাম অম্লান থাকবে
সোমবার ১৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী । পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জাতির পিতার সমাধি প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন।শেখ হাসিনা দিবসটির জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান।
আরও পড়ুন…“চেতনায় বঙ্গবন্ধু”
প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে গিয়েও ১৫ আগস্টের শহীদদের কবরে ফুলের পাপড়ি বিছিয়ে সুরা ফাতিহা পাঠ করেন এবং সেখানে মোনাজাতে যোগ দেন । সশস্ত্র বাহিনীর সুসজ্জিত চৌকস দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় এবং এ সময় বিউগলে করুন সুর বেজে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে সুরা ফাতিহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এ ছাড়া জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন…আইইবিতে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন
প্রধানমন্ত্রী এরপর দলের সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।এরপর বঙ্গবন্ধু ভবন এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এখন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এ বাঙালির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে শহিদ হন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।সেই রাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের ও কর্নেল জামিল।
আরও পড়ুন…ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় শোক দিবসে আ.লীগের দুই গ্রুপের পৃথক কর্মসূচি পালন
ঘাতকদের বুলেটে আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগনে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ খান রিন্টুসহ আরও অনেকে। দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।
ইবাংলা/তরা/১৫ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.