বোমা হামলায় ৫ জেএমবির মৃত্যুদণ্ড
ইবাংলা ডেস্ক
আদালত চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির মসজিদে বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবির ৫ সদস্যের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন । ১৭ আগস্ট (বুধবার) সকালে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিরা হলোঃ আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও এম সাখাওয়াত হোসেন।
আরও পড়ুন…বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের আশ্রয়দানকারী দেশসমুহের সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী
এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি মনোরঞ্জন দাশ ।তিনি জানান, রায়ে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।এর আগে গত ১ আগস্ট এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৭ আগস্ট (বুধবার) দিন ধার্য করেন সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের বিচারক আবদুল হালিম।
উল্লেখ্য যে, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন…মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে ভর্তি হলেন চিত্রনায়িকা দীঘি
এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সঙ্গে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে সফল হননি।
পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝ বরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন…গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, পাস ৫৬.২৬ শতাংশ
ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।হামলার ৯ মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ঘটনার ২২ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
ইবাংলা/তরা/১৭ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.