মুক্তি পেলেও রাতে হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট

ডেস্ক রিপোর্ট

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্তি পেলেও সোমবার রাতে হাসপাতালেই থাকছেন বলে জানিয়েছেন শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএসএমইউ) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম খান।সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

Islami Bank

এর আগে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।অসুস্থ বিবেচনায় তাকে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জামিন দেন আদালত। চার মামলার মধ্যে আগেই তিন মামলায় জামিন পাওয়ায় এখন তার কারামুক্তিতে আর বাধা নেই।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত দুই শর্তে সম্রাটের জামিনের আদেশ দেন।শর্ত দুটি হলো- সম্রাটকে পাসপোর্ট জমা দিতে হবে এবং তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।

আরও পড়ুন…যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া শুরু

এর আগে গত ১১ মে এ মামলায় সম্রাটকে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান। এদিন সব মামলায় জামিন পাওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পান সম্রাট।

one pherma

গত ১৮ মে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ মামলায় সম্রাটের জামিন বাতিল করেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সঙ্গে সাত দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়।

গত ২৩ মে সম্রাটের জামিন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে সম্রাটের আবেদন (লিভ টু আপিল) শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। গত ২৪ মে সম্রাট বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। একই বছরের ৬ অক্টোবর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। গত ২২ মার্চ দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ। অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৬ এ পাঠানো হয়।

ইবাংলা/জেএন/২২ আগস্ট,২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us