আসন্ন দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ও ভারতের গণমাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে কি ধরনের চুক্তি হতে পারে সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা চলছে।
৩ বছর পর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের সময় ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে থাকার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
গত মাসেই মমতাকে লেখা চিঠিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জানিয়েছিলেন, তিনি ভারতে আসছেন এবং তিনি আশা করেন সেই সফরে তার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হবে। আসলে দিল্লিতে শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতার বৈঠক হোক এবং তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি না হলেও অন্য নদীগুলো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সমঝোতা চূড়ান্ত করতে চায় দুই দেশই।
শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে তিস্তাসহ একাধিক নদীর পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত সমস্যা ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর তিনি দিল্লিতে পা রাখবেন। শেখ হাসিনার এই সফরে দুদেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা। যার মধ্যে অন্যতম নদী চুক্তি।
তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা ছাড়াও ভারত-বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর মধ্যে ৬টি নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ। এই সবকটি বিষয়ের সঙ্গেই জড়িত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।
এমনিতে শেখ হাসিনা এবং মমতা ব্যানার্জির সম্পর্ক পুরোপুরি দিদি-বোনের। পরস্পরের মধ্যে স্নেহ-শ্রদ্ধা-ভালোবাসার এক স্বতঃস্ফূর্ত বন্ধন রয়েছে। সেই সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই বাংলার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক এখনো অটুট। আর তাই এবারের ভারত সফরেও শেখ হাসিনা ছোট বোন মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে দেখা করতে আগ্রহী। সূত্রের খবর, মমতার জন্য ঢাকা থেকে বিশেষ উপহারও নিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা।
আরও পড়ুন…হেনস্তার শিকার ইবি ছাত্রী, লিখিত অভিযোগ
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক লাভ অনেকখানি। শেখ হাসিনা ভারতে আসার ঠিক আগে, ইতোমধ্যে নয়াদিল্লিতে শেষ হয়েছে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক।
ভারত বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন আলোচনা ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি মধ্যে পশ্চিমবাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি রাজনৈতিক গুরুত্ব বহন করবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
ইবাংলা/জেএন/২৭ আগস্ট,২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.