উত্তাল নোয়াখালী মেডিকেল কলেজে
নিজস্ব প্রতিনিধি
শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ ২০ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে।
এতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে কলেজের সকল কার্যক্রম। ভোগান্তিতে পড়েছে ডোপ টেস্ট করতে আসা শত শত মানুষ। বুধবার (৭ সেপ্টম্বর ) সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন…তারেক কানেকশন : আওয়ামী লীগে ভর করে হাশেম রেজার অস্বাভাবিক উত্থান
পরে একাডেমিক ভবনের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করে।
ছাত্রছাত্রীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি চলছে। বিশ দফা দাবি যতক্ষণ পর্যন্ত আদায় না হবে, অবরোধ চলবে বলে জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো হলো,দীর্ঘদিন কলেজের হোস্টেল ও ডাইনিংয়ে পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক পাখা,
আরও পড়ুন…রেলওয়ে দপ্তরের বিরুদ্ধে ঘোরতর দুর্নীতির অভিযোগ
লাইট, চেয়ার, টেবিলের সংকট রয়েছে। এ ছাড়া হোস্টেলে পানির মোটর ও ট্যাংকও নষ্ট থাকে, পানির সমস্যা। কর্মচারীদের অনিয়মিত উপস্থিতি ও দায়িত্বহীন আচরণের কারণে প্রায় সময় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়।
হোস্টেলের চারপাশ অপরিষ্কার। গ্রন্থাগারে পড়ার কোনো পরিবেশ নেই। গ্রন্থাগারিক হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হলেও তিনি কখনোই কার্যালয়ে আসেন না। এ ছাড়া গ্রন্থাগারে পর্যাপ্ত বই নেই। রয়েছে বৈদ্যুতিক পাখা ও লাইটের স্বল্পতা। শৌচাগারে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত।
আরও পড়ুন…দাম বাড়ল এলপিজির
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এসব সমস্যার সমাধানের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে ধরনা দিলেও তারা কোনো ধরনের উদ্যোগ নেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীর প্রথমে ছয় দফা এবং পরে ২০ দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
পঞ্চম বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কলেজের প্রায় ৩৫০ ছাত্রছাত্রী ক্লাস বর্জন করে এ আন্দোলন শুরু করেন। একই সঙ্গে সকাল থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন…বাংলাদেশ-ভারত ৭ সমঝোতায়
তারপর বুধবারও একই সময় থেকে তাদের আন্দোলন চলছে। এ সমস্যা সমাধানে দুপুর ১২টার দিকে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। তবে কর্তৃপক্ষ কোন প্রতিশ্রুতি দিলে তা মেনে নেওয়া হবেনা।
যতক্ষণ পর্যন্ত তারা সমস্যা সমাধানে কাজ শুরু না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। দাবি মেনে নিয়ে কাজ শুরু না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন…গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভাঙন
এ বিষয়ে জানতে আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আবদুস সালামের মুঠোফোনে কল করলে তিনি ফোন বন্ধ করে দেন। তবে এর আগে তিনি গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে সাংবাদিকদের জানেয়েছেন,
শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে এসেছেন। দাবিগুলো তিনি দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন। আলোচনা করে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।
ইবাংলা/তরা/৭ সেপ্টেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.