আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় শ্রীলংকা। তবে ভানুকা রাজাপাকসের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রান করে লংকানরা। এশিয়া কাপের তৃতীয় শিরোপা জয়ে পাকিস্তানকে ১৭১ রান করতে হবে।
রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলংকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে পড়ে যায় শ্রীলংকা। পাকিস্তানের তরুণ পেসার নাসিম শাহর করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লংকান তারকা ওপেনার কুশাল মেন্ডিস (০)।
আরও পড়ুন…উন্নত বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণদের উচ্চমানের শিক্ষা গ্রহণের আহ্বান
চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে অন্য ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন হারিস রউফ। আগের ম্যাচে এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে ধানুস্কা গুনাথিলাকাকে বোল্ড করেন তিনি।
অষ্টম ওভারে বোলিংয়ে এসে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে আউট করেন ইফতেখার আহমেদ। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন ইফতেখার। ২১ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৮ রান করে ফেরেন ধনঞ্জয়া।
নবম ওভারে শ্রীলংকার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে বোল্ড করেন পাকিস্তানের সহঅধিনায়ক ও তারকা লেগ স্পিনার শাদাব খান। তার বিদায়ে ৫৮ রানে ৫ উইকেট হারায় লংকানরা।
৮.৫ ওভারে ৫৮ রানে প্রথম সারির ৫ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন ওয়ানেন্দু হাসারঙ্গা ও ভানুকা রাজাপাকসে। ষষ্ঠ উইকেটে ৩৬ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়েন তারা। হাসারঙ্গাকে আউট করে এই জুটির বিচ্ছেদ ঘটান হারিস রফউ। ১৪.৫ ওভারে ১১৬ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৫টি চার আর এক ছক্কায় ৩৬ রান করে ফেরেন অলরাউন্ডার হাসারঙ্গা।
এরপর চামিকা করুনারত্নেকে সঙ্গে নিয়ে ৩১ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন রাজাপাকসে। তাদের এই জুটিতেই স্কোর দেড়শ ছাড়িয়ে যায়। ৪৫ বলে ৬টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন ভানুকা রাজাপাকশে। পাকিস্তানের হয়ে ৪ ওভারে ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন হারিস রউফ।
ইবাংলা/টিএইচকে
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.