নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসা সাত রোহিঙ্গা নারী-শিশুকে আটক করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
আটক রোহিঙ্গারা হলেন, ৮৪ নম্বর ক্লাস্টারের এরশাদ উল্লাহ (৩২) খোদেজা বেগম (২৮) মো.শাহেদ (১০) রোসমিন আক্তার (১৫) মো. হাসান সেতারা বেগম (২৭) মো. তোফায়েল (৯ মাস)।
আরও পড়ুন…ইরার ‘কাঠপোকা’র তিন পেরোনোর গল্প”
শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম। এর আগে,শুক্রবার মধ্য রাতে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর বাজার থেকে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাত রোহিঙ্গা একসঙ্গে চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশে ভাসানচর থেকে দালালের মাধ্যমে পালিয়ে আসে। দালাল চক্র কৌশলে তাদের সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর বাজার এলাকায় নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে তারা রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে এবং ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসে বলে জানায়। পরে বিষয়টি চর জব্বার থানায় জানানো হয়। পুলিশ তাদের শনিবার সকাল ৯টার দিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন…রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শিশুকে বলৎকার
এসপি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা জাহাজিয়া চর এলাকার দালাল মো. ইসহাক, মো.আনোয়ার, মো.আয়াত উল্লাহদের সহায়তায় ভাসানচর হতে চরক্লার্ক ইউনিয়নের কেরামতপুর বাজারে আসলে স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ইবাংলা/জেএন/১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.