নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের খাদ্য বন্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা মূল্যের চাউল কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ না করে আত্বসাতের অভিযোগে ডিলার কুতুবউদ্দিনের বিরুদ্ধে।
গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন। ৫৩/২০২২ নং স্বরকে এক পত্রে ব্যবস্থা গ্রহনের ওই লিখিত অভিযোগটি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন…সমুন্নত রাখার এক অগ্রযাত্রার নাম বিদায়: ইবি ভিসি
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে,সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টুনীর আওয়তায় এলাকার অসহায় ও নিরিহ লোকজনের জন্য ১০ টাকা মূল্যের ৩০ কেজি করে চাউল বিতরণ করার জন্য কুতুবউদ্দিনকে খাদ্য বন্ধব ডিলার হিসাবে নিয়োগ প্রধান করে। কিন্তু ডিলার কুতুবউদ্দিন ১০জন কার্ড ধারীর নাম অন্তর্ভুক্ত করে ওই কার্ডগুলো নিজের নিকট রক্ষিত রেখে দেয়।
কিন্তু কার্ডধারীরা বিষয়টি অবহিত ছিলোনা। ডিলার ওই কার্ডের চাউল উত্তোলন করে আত্মসাত করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি কার্ডগুলো অনলাইন কার্ডক্রম শুরু হলে ডিলার কুতুবউদ্দিন নিজে কার্ডগুলো অনলাইন করাতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর চেয়ারম্যান ওই ১০জন কার্ডধারীকে তার কার্যালয়ে ডেকে আনলে তারা তাদের নামে ১০টার মূল্যের চাউলের জন্য কার্ড ইস্যু হয়েছে বলে কিছুই জানেননা বলে অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন অসহায় ও দুস্থদের চাউল আত্বসাতের প্রতিকার চেয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর ঢাকা, সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার কুতুবউদ্দিন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে রেজিস্ট্রার খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে কার্ড ধারীদের নিকট চাউল বিতরণ করেছেন। তবে,তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ভোটের সময় তিনি চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট না করায় তিনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তাকে হয়রানির চেষ্ঠা করছেন।
আরও পড়ুন…পোস্টমাস্টারের ৯ বছরের কারাদন্ড
এ বিষয়ে অজুর্নতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন বলেন, খাদ্য বন্ধব কর্মসূচির ডিলার কুতুবউদ্দিন ২০২০ সাল থেকে ৩০জন কার্ডধারীকে চাউল না দিয়ে ওই কার্ডের চাউল নিজে উত্তোলন করে আত্মসাতেন পর বিক্রি করে দিয়েছেন। এরমধ্যে ১০জনের তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে অচিরেই বাকী ২০জনের ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হবে। এ ঘটনায় তিনি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন।
সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুন নাহারের বলেন, গতকাল রোববার দুপুরে তিনি চাল আত্মসাতের বিষয়ে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছেন। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.