চট্টগ্রামে সর্বশেষ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৯.৬০ শতাংশ।।করোনা সংক্রান্ত জেলার হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে দেখা যায়, নতুন আক্রান্ত ১২ জনের মধ্যে ১১ জন শহরের ও হাটহাজারী উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৪৩ জন। এর মধ্যে শহরের ৯৩ হাজার ৯৩৫ এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৯০৮ জন। করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের ৭৩৭ ও গ্রামের ৬৩০ জন।
আরও পড়ুন…মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আশা বাংলাদেশ-কম্বোডিয়ার
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, সরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে ২০টি নমুনায় শহরের ৪টিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে ৩৯ জনের নমুনায় শহরের ৪ ও গ্রামের একজন আক্রান্ত শনাক্ত হন। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ৮ নমুনার একটিতে জীবাণু মিলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের একজনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৮ জনের নমুনায় একজন কোভিড রোগী পাওয়া যায়।এছাড়া, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৮, মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ১১ ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ১০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। চার ল্যাবে ৩৭ নমুনার একটিতেও ভাইরাস শনাক্ত হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়, বিআইটিআইডি’তে ২০ শতাংশ, চমেকহা’য় ১২ দশমিক ৮২, আরটিআরএলে ১২ দশমিক ৫০, শেভরনে ৭ দশমিক ৬৯ ও এপিক হেলথ কেয়ারে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ও এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ০ শতাংশ।
ইবাংলা/জেএন/২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.