নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পূর্ব শক্রতার জের ধরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে গিয়ে ইয়াবাসহ এক নারী ও যুবক নিজেই ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। গ্রেফতারকৃতরা হলো, সদর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুর নুর সুজন (৩২) ও শামসুন্নাহার ফারজানা (৪৫)।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়। এর আগে, গতকাল রোববার বিকেল ৪টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার পাঁচ রাস্তার মোড় সংলগ্ন এস.এ পরিবহন অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন…চাটখিলের শাহাপুরে আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন
জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-ডিবি) নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রোববার আব্দুর নুর সুজন ডিবি পুলিশের কাছে ফোন করে জানায় সুধারাম থানা এলাকায় লক্ষীনারায়ণপুর মহল্লার পাঁচ রাস্তার মোড় সংলগ্ন এস.এ পরিবহন অফিসের সামনে পাকা রাস্তার উপর এক ব্যক্তি মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয় করছে। এমন খবরের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশ ঘটানস্থল থেকে মো.ইব্রাহিম খলিল(৫৩) কে আটক করে।
তথ্যদাতা আব্দুল নুর সুজন ইব্রাহিম খলিলের থেকে মাছের পোনা ক্রয় করার কথা বলে তাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। কথাবার্তার এক পর্যায়ে তথ্যদাতা মো.আব্দুর নুর সুজন তাহার পরিহিত প্যান্টের ডান পকেট থেকে কিছু একটি বাহির করাকালে তাহার আচরণ সন্দেহপূর্ণ হওয়ায় তাকে আটক করা হয় এবং তাহার ডান হাত থেকে সাদা পলিথিনে মোড়ানো ৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আসামি আব্দুর নুর সুজনকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ঘটনাস্থলে অপর ব্যক্তি শামসুন্নাহার ফারজানা তাকে ইয়াবা গুলো দিয়েছে। তাৎক্ষণিক ফারজানাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায় যে, তাহার পরিচিত আবির হোসেন রাব্বির মামার সাথে ভিকটিম ইব্রাহিম খলিলের পূর্ব থেকে জায়গা জমি নিয়া বিরোধ চলছে। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করিয়া ইব্রাহিম খলিলকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর উদ্দেশ্য মাছের পোনা ক্রয় বিক্রয়ের কথা বলে ভিকটিম ইব্রাহিম খলিলকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে এবং পুলিশকে সংবাদ দেন। এ ঘটনায় পলাতক আসামি আবির হোসেন রাব্বিসহ ৩জনের বিরুদ্ধে সুধারাম থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
ইবাংলা/জেএন/২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.