খুলনার কয়রা উপজেলায় ৫৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।প্রধান শিক্ষক না থাকায় এসব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব ও পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
দীর্ঘদিন প্রধান শিক্ষক শূন্যতায় এসব বিদ্যালয়গুলো অনেকটাই অভিভাবকশূন্য হয়ে পড়েছে।ফলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে অতি দ্রুত এ সকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকবৃন্দ।
জানা গেছে, এ শূন্যতার কারণে বিদ্যালয়গুলোতে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের উপর বাড়তি চাপ পড়ছে। তাদের অতিরিক্ত পাঠদানের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রশাসনিক কাজকর্মও ব্যাহত হচ্ছে।উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নে ১৪২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২ হাজার মতো শিক্ষার্থী রয়েছে।যার মধ্যে ৫৮ টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই।এসকল বিদ্যালয়ে সিনিয়র সহকারী শিক্ষক চলছি দায়িক্তে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িক্ত পালন করছেন।
আরও পড়ুন…কুবি ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
প্রধান শিক্ষক শূন্যতার কারণে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না।ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকদের পাঠদানের পাশাপাশি তাদের বিভিন্ন প্রশাসনিক কাজ, শ্রেণিকক্ষ পর্যবেক্ষণ, সভা-সেমিনারে অংশ নেওয়াসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয়। এতে শিশুদের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা চালু রাখতে শিক্ষক সংকট নিরসনের বিকল্প নেই বলে মনে করছে সচেতন অভিভাবকবৃন্দ।
উপজেলার সদর ইউনিয়নে দক্ষিণ মদিনাবাদ মুসাফিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধীরাজ মন্ডল বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে যাওয়ার ফলে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হয়।বর্তমানে আমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িক্ত পালন করছি।পাঠদানের পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দায়িক্ত দেখভাল করতে হয় তবে একটু কষ্ট হলেও পাঠদানে কোন সমস্যা হয় না।
উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি শহীদ সরোয়ার বলেন, ৫৮টি বিদ্যালয়ের মধ্যে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণ বিদ্যালয় আছে।দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপে জাতীয়করণে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদগুলো গেজেটে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেয়নি,যার ফলে ঐসকল বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকরা পদ ফিরে পাওয়ার জন্য মামলা করেছে,মামলা চলমান থাকায় প্রধান শিক্ষক পদটি ফাঁকা আছে।এ ছাড়া উপজেলায় কিছু শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় প্রধান শিক্ষক পদটি ফাঁকা হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান জানান, উপজেলায় ৫৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৮ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সহকারী শিক্ষকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িক্ত পালন করায় দাপ্তরিক কাজে কিছু সমস্যা থেকেই যায়।
ইবাংলা/জেএন/০১ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.