রাজধানীর শুক্রাবাদে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বিউটিশিয়ানকে পার্লার সেবার কথা বলে বাসায় ডেকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার শিক্ষার্থী মো. রিয়াদ (২৪) ও ইয়াছিন হোসেন ওরফে সিয়ামের (২৩) দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় ৭ দিনে রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আসামিদের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী।
আরও পড়ুন…চালকদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করলে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শুক্রাবাদে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ওই সময় তাদের থেকে ভিকটিমের মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, ফেসবুকে অর্ডার পেলে বাসায় গিয়ে মেয়েদের বিউটি পার্লারের কাজ করেন ওই নারী। মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাতে এক নারীর অর্ডার পেয়ে সাভার থেকে ধানমন্ডির ২৮ নম্বর রোডের বয়েজ স্কুলের কাছ যান তিনি। তখন ওই নারী একজন পুরুষকে দিয়ে তাকে রিসিভ করান।
সেখান থেকে শুক্রাবাদের একটি বাড়ির দোতলার বাসায় নিয়ে যান। ওখানেই ৩ জন পুরুষ তাকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। তখন গর্ভাবস্থার কথা জানিয়েও রক্ষা পাননি তিনি। অস্ত্র ঠেকিয়ে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে রিকশা নিয়ে তিনি গাবতলী পর্যন্ত আসেন এবং এক ব্যক্তির মোবাইলে সিম ঢুকিয়ে তার স্বামীকে ফোন দেন। স্বামী এসে তাকে গাবতলী থেকে সাভারে নিয়ে যান।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে শেরেবাংলা নগর থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। বর্তমানে ওই নারী ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ধর্ষণের শিকার নারীর বড় ভাই গণমাধ্যমকে জানান, ওই ব্যক্তিরা আমার বোনকে ধর্ষণ করেছে। আমরা বিচার চাই।
আরও পড়ুন…ব্রুনাই দারুসসালামের সুলতানকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ
বিউটিশিয়ানের স্বামী গণমাধ্যমকে জানান, আমার স্ত্রী পার্লারের কাজ শিখেছেন। বাসায় গিয়ে রূপচর্চা সেবা দেন। অনলাইনে ‘বাসায় গিয়ে রূপচর্চা করা হয়’ বলে একটি বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। অর্ডার পেয়ে ধানমন্ডি ২৮ নম্বরে গিয়েছিলেন।
ওই দিন ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া বলেন, বিউটিশিয়ানকে ৩ জন প্রথমে ধর্ষণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মারধর করেন। পরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
ইবাংলা/জেএন/১৪ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.