অন্তর কঠিন হয়ে গেলে মানুষ পাষণ্ড হয়ে পড়ে। অন্তরের পাষণ্ডতার কারণে মানুষে মানুষে দ্বন্ধ তৈরি হয়। দেখা দেয় নানা ধরনের দূরত্ব ও ঝগড়া-বিবাদ। নেক কাজ করতে ভালো লাগে না। মৌলিকভাবে মানুষের অন্তর কঠোর হয়ে যায় আল্লাহর অবাধ্যতা ও পাপের কারণে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তোমাদের অন্তর কঠিন হয়ে গেল, তা পাষাণ কিংবা তার চেয়ে বেশি কঠিন…।’-(সুরা বাকারা, আয়াত : ৭৪)
হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘জেনে রেখো! শরীরের মধ্যে এমন এক টুকরা গোশত আছে, যা সুস্থ থাকলে গোটা দেহ সুস্থ থাকে, আর এটা অসুস্থ হয়ে গেলে গোটা দেহ অসুস্থ হয়ে যায়। জেনে রেখো, আর এটাই হলো অন্তর।’ -(বুখারি, হাদিস : ৫২)
পরকালে মুক্তির জন্য সুস্থ অন্তর থাকা আবশ্যক। অন্তর কঠোর ও অসুস্থ হলে মানুষ সত্যগ্রহণে ব্যর্থ হয়। মানসিক প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত করে। কঠোরতা দূর করে হৃদয়কে নরম করতে কোরআন ও হাদিসে বেশ কিছু আমলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়ে। তার একটি হলো বেশি বেশি জিকির করা। আল্লাহর জিকির ও স্মরণ মানুষের অন্তরের কঠোরতা দূর করে তাতে কোমলতা ও সজীবতা সৃষ্টি করে।
হৃদয়ের বিক্ষুব্ধতা দূর করে তাতে প্রশান্তি বয়ে আনে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা মুমিন তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা প্রশান্ত হয়। নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণ অন্তরগুলোকে প্রশান্ত করে। ’ (সুরা : রাদ, আয়াত : ২৮)
ইবাংলা/জেএন/১৭ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.