চীনের ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সাত দিনব্যাপী বিংশ জাতীয় কংগ্রেস ২২ অক্টোবর সকালে বেইজিংয়ে গণ-মহাভবনে শেষ হয়েছে।
সম্মেলনে সিপিসি’র বিংশ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা তদারক কমিশন নির্বাচন করা হয়েছে, সম্মেলনে সিপিসি’র উনবিংশ কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মপ্রতিবেদনের প্রস্তাব, সিপিসি’র উনবিংশ কেন্দ্রীয় শৃঙ্খলা তদারক কমিশনের কর্মপ্রতিবেদন প্রস্তাব এবং ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সনদ (সংশোধনী প্রস্তাব)’ বিষয়ক প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে।
আরও পড়ুন…কোভিড নিয়েও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন আইরিশ
সি চিন পিং সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেছেন।
সম্মেলনে সিপিসি’র উনবিংশ কেন্দ্রীয় কমিটির কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে বলা হয়, সিপিসি’র উনবিংশ জাতীয় কংগ্রেসের পরের পাঁচ বছর অসাধারণ পাঁচ বছর। এই পাঁচ বছরে সি চিন পিং-কেন্দ্রিক সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কমিটি সিপিসি এবং পুরো দেশের বিভিন্ন জাতির জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে কার্যকরভাবে কঠোর ও জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন বিরাট ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছে, নতুন যুগের চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র এগিয়ে নিয়েছে এবং দেশ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য অর্জন করেছে।
সম্মেলনে জোর দিয়ে বলা হয়, সিপিসি’র অষ্টাদশ জাতীয় কংগ্রেসের পর দশ বছরে চীনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ কাজ হয়েছে। এক, চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রতিষ্ঠার শততম বার্ষিকী। দুই, চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্র নতুন যুগে প্রবেশ করেছে। তিন, চীনে সার্বিকভাবে দারিদ্রমুক্তকরণ এবং স্বচ্ছল সমাজ গঠনের ঐতিহাসিক কর্তব্য সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি, প্রথম শতবছর সংগ্রামের লক্ষ্য পূরণ করেছে।
সম্মেলনে বলা হয়, নতুন যুগের দশ বছরের মহান অর্জন সি চিন পিং-কেন্দ্রিক সিপিসি’র দৃঢ় নেতৃত্বে, সি চিন পিং-এর নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের চেতনার নির্দেশনায় চীনা জনগণের পরিশ্রমে অর্জিত হয়েছে। সিপিসি সি চিন পিং-এর কেন্দ্রীয় অবস্থা, তাঁর নতুন যুগে চীনের বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের চিন্তাধারার নেতৃত্ব নির্ধারণ করেছে। যা পুরো পার্টি এবং পুরো দেশের জনগণের অভিন্ন আকাঙ্ক্ষা। এটি নতুন যুগে দেশ ও সিপিসি’র উন্নয়ন এবং চীনা জাতীর মহান পুনরুত্থানের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে অর্ধশতাধিক ভারতীয় মোবাইলসহ যুবক আটক
সম্মেলনে বলা হয়, এখন থেকে সিপিসি’র কেন্দ্রীয় কর্তব্য হল দেশের জনগণকে নেতৃত্ব দিয়ে সার্বিকভাবে সমাজতান্ত্রিক আধুনিক শক্তিশালী দেশ গঠন করা, দ্বিতীয় শত বছরের সংগ্রামের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা এবং চীনের বৈশিষ্ট্যময় সার্বিক আধুনিক মহান পুনরুত্থান জোরদার করা।
সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সার্বিক সমাজতন্ত্রের আধুনিক শক্তিশালী দেশ গঠনের কাজ দুই ধাপে বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রথমত, ২০২০ সাল থেকে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত সমাজতান্ত্রিক আধুনিকায়ন বাস্তবায়ন করা। দ্বিতীয়ত, ২০৩৫ সাল থেকে এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চীনকে শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক, সভ্য, সুষম ও সুন্দর সমাজতন্ত্রের আধুনিক শক্তিশালী দেশ গঠন করা।
সি চিন পিং সম্মেলনে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেন, সম্মেলনে নতুন মেয়াদের কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচন করা হয়েছে। এতে বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন বিভাগ, বিভিন্ন মহলের সিপিসি’র শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছে। যা সিপিসি’র চাহিদা এবং জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। কেন্দ্রীয় কমিটি নিশ্চয় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সার্বিক সমাজতান্ত্রিক আধুনিক দেশ গঠন এবং চীনা জাতির সার্বিক মহান পুনরুত্থানের ঐতিহাসিক কর্তব্য পালন করবে।
আরও পড়ুন…ক্ষমতার বদল চাইলে বিএনপিকে নির্বাচনে আসতে হবে
তিনি বিশ্বাস করেন, সিপিসি’র বিংশ জাতীয় কংগ্রেসে নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, অর্জিত বিভিন্ন সুফল নিশ্চয় সার্বিকভাবে সমাজতন্ত্রের আধুনিক দেশ গঠন করা, চীনা জাতির মহান পুনরুত্থানের ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা এবং চীনা বৈশিষ্ট্যময় সমাজতন্ত্রের নতুন বিজয় অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি হিসেবে জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং জনগণের জন্য কাজ করতে হবে। সূত্র:সিএমজি।
ইবাংলা/জেএন/২৩ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.