দেশের চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর।কিছু ব্যবসায়ী বেশি মুনাফার জন্য কারসাজি করছে। বাজার মনিটরিংয়ের পর এ সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে চিনির সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মিলমালিক, রিফাইনারি, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে এ সুপারিশের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন…ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে জনজীবনে বিপর্যয়
সুপারিশগুলো হলো-মিলগুলোকে তাদের সর্বোচ্চ উৎপাদন এবং সরবরাহ অব্যাহত রাখতে হবে; মিল থেকে খুচরা পর্যায় পর্যন্ত কোথাও অসাধু উদ্দেশে চিনি মজুত করে বাজার অস্থিতিশীল করছে কি না গোয়েন্দা সংস্থা তা নজরদারি করবে; চিনির বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মোবাইলকোর্ট বাজারে অভিযান অব্যাহত রাখবে; মূল্য পর্যালোচনার জন্য ‘মূল্য নির্ধারণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির’ নিয়মিত সভায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
চিনি উৎপাদনকারী মিলগুলোয় নির্ধারিত চাপের গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; মিলমালিক থেকে খুচরা পর্যায়ে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে মুদ্রিত (পাকা) ভাউচার প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে; এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূর করতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্তৃক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে হবে; মিলগেটে চিনি পরিবহনে (ট্রাক) সরবরাহ করতে অপেক্ষমাণ সময় কমিয়ে আনতে হবে।
আরও পড়ুন…৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিচ্ছে
এবং এলাকাভিত্তিক ডিলার নির্ধারণ করে বাজারগুলোয় চিনি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চিনির সরবরাহ এবং মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মিলমালিক, রিফাইনারি, পাইকারি এবং খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিশ্রুতি দেন।
ইবাংলা/জেএন/২৪ অক্টোবর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.