সড়কের পাশের গাছ কাটে সাবাড় করছেন সাবেক ইউপি সদস্য সুভাষ

রিন্টু মুন্সী, নড়াইল প্রতিনিধিঃ

নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউপি’র সাবেক সদস্য সুভাষ সাহা’র বিরূদ্ধে সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তিনি নড়াইল-মাগুরা সড়কের দু’পাশের লাখ লাখ টাকার গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছেন। হবখালি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য এ ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের নরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে। অবৈধভাবে গাছ কেঁটে বিক্রির ছবি, ফুটেজ ও তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সুভাষ সাহার ছেলে তুষার সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন।

Islami Bank

আরও পড়ুন…ভয়াল ১২ নভেম্বর:নোয়াখালীতে উপকূলের নিহতদের স্মরণ

এলাকাবাসী জানায়, প্রায় বছর খানেক আগে নড়াইল-মাগুরা সড়কের বাগডাঙ্গায় সড়কের দু’পাশে থাকা কয়েক লাখ টাকার গাছ অবৈধভাবে কর্তন করেন সাবেক ইউপি সদস্য সুভাষ সাহা। এরপর বিভিন্ন সময়ে কৌশলে ওই গাছ বিক্রি করতে থাকেন তিনি। গাছ বিক্রির টাকা নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন।

বিভিন্ন বাঁধার কারণে সব গাছ বিক্রি করতে না পারায় রাস্তার পাশে পড়ে থেকে কাঁটা গাছের অনেকাংশ নষ্ট হয়। গাছ বিক্রি করতে বিভিন্ন অফিসে দৌড়ঝাপ করেন। সম্প্রতি দেখা যায় পড়ে থাকা সেই গাছের অংশ ফের বিক্রি শুরু করেছেন সুভাষ।

এদিকে সুভাষের করা উপকার ভোগীদের ও ভূমি মালিকদের তালিকা নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। প্রকৃতপক্ষে ওই তালিকায় যাদের নাম থাকার কথা তাদেও নাম নেই। সুভাষের কাছের লোকজনদেও নাম দিয়ে ওই তালিকা বানানোর অভিযোগ রয়েছে।

টেন্ডার ছাড়া গাছ কর্তনের কথা অকপটে স্বীকার কওে সুভাষ সাহা বলেন,বনবিভাগ ও জেলা পরিষদের কথায় কোন ধরনের টেন্ডার ছাড়াই তখন তিনি গাছ কাঁটেন। পরবর্তীতে ৮৫ হাজার টাকার গাছ বিক্রি করে সেই টাকা নিজের কাছে রেখেছেন।

one pherma

উপকার ভোগীদের ও ভূমির মালিকদের তালিকা নিয়ে বিতর্কের ব্যাপারে সুভাষ বলেন, এ তালিকা বনবিভাগের করা। এদিকে বনবিভাগ বলছে, মেম্বর সুভাষ যে গাছ কেটেছেন বা উপকারভোগীদের তালিকার কথা বলছেন তা বনবিভাগের নিবন্ধিত নয়।

এ ব্যাপাওে নড়াইল বনবিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুর রশিদ বলেন,বনবিভাগের সাথে চুক্তির কোন কাগজ-পত্র তাদের কাছে নেই। সুভাষ সাহা যে গাছ কেঁটে বিক্রি করছেন তা বনবিভাগের নিবন্ধিত নয়। সে যে তালিকার কথা বলছে তা তাদেও নিবন্ধনে নেই।

আরও পড়ুন…সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার থাকতে হবে : গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

এ বিষয়ে নড়াইল জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোঃ লুৎফর রহমান জানান, তিনি আসার আগে গাছগুলো কাঁটা হয়। গাছগুলো পূর্বের পরিষদ থাকতে কাঁটা হয়েছিল। কিভাবে কাঁটা হয়েছিল আমার জানা নেই। নতুন পরিষদ গঠন হলে প্রথম সভায় বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন।

ইবাংলা/জেএন/১২নভেম্বর ২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us