বর্ষাকাল আসার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষিণ মালাউই প্রজাতন্ত্রের নসানজে জেলার তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে পৌঁছেছে। নসানজে থেকে মালকা হাইওয়ে পর্যন্ত ৫ কিলোমিটারের এক্সটেনশন রাস্তা পাকাকরণ প্রকল্প এগিয়ে চলছে। আর ৩৩ বছরের মালাউই যুবক ড্যানি সিম্বি তার বাসার সামনে দিয়ে যাওয়া এ রাস্তা দেখে খুব খুশি হয়েছেন।
চীনা রেলপথ ২০তম ব্যুরো গ্রুপ কর্পোরেশন লিমিটেড-নির্মিত হাইওয়েটি দেশটির জাতীয় রাজপথের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পাশাপাশি, মালাউই ও মোজাম্বিককে সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াত সংযোগস্থল। ২০১৯ সালের শুরুতে ২০তম ব্যুরোয় যোগ দেয়ার পর থেকে সিম্বি স্বচক্ষে জন্মস্থানের কাঁচা রাস্তা ধাপে ধাপে পাকা ও প্রশস্ত পিচ রাস্তায় পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়া দেখেছেন। একই সময়ে তিনিও নির্মাণ সাইট সুপারভাইজারে পরিণত হন।
সিম্বি বলেন, “নসানজে–মালকা হাইওয়ে স্থানীয় জনগণের জন্য বিরাট পরিবর্তন ডেকে আনছে। আমার অনেক বন্ধু স্থিতিশীল চাকরি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতা শিখেছে। ফলে সবার জীবন আরো সুখি হয়েছে।”
আরও পড়ুন…পাবিপ্রবি’তে আর্জেন্টিনা ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠীর আনন্দ মিছিল
২০তম ব্যুরোয় কাজ করার কয়েক বছরে তিনি পরিবারের জন্য নতুন ঘর বানিয়ে নতুন আসবাবপত্র কিনেছেন। গত বছর পুনর্মিলনের জন্য তিনি বাবামাকে গ্রাম থেকে শহরে নিয়ে এসেছিলেন।
নসানজেতে সিম্বির মতো রাজপথ নির্মাণের মাধ্যমে পারিবারিক জীবন উন্নত করা জনগণ আরো অনেক আছে। তিনবছরে ২০তম ব্যুরো মোট প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পাশাপাশি প্রায় ৫শ’ প্রযুক্তিকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এদের মধ্যে ২শ’ স্থানীয় কর্মী ব্যবস্থাপক বনেছেন।
“আমি চীনা সহকর্মীর সাথে কাজ করতে পছন্দ করি। তারা পরিশ্রমী, দয়ালু এবং আমাদেরকে অব্যাহতভাবে প্রচেষ্টার মাধ্যমে নিজের ও পরিবারের জীবন উন্নত করতে উদ্দীপ্ত করেন।” সিম্বির স্মৃতিতে ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারী হবার সময় প্রকল্পের টাইট সিডিউল, কম কর্মী এবং ভারী কাজের পরিস্থিতিতে প্রকল্পের নেতারা নির্মাণ সাইটে লেগে থাকেন, সকল নির্মাণ কর্মী সময় ধরে বিটুমিন দিয়ে রাস্তায় আস্তরণ দিতেন। গভীরভাবে অভিভূত সিম্বিও ওভারটাইম কাজের জন্য আবেদন করে অন্যান্য সহকর্মীর সাথে কাজ করেছেন।
নসানজে-মালকা হাইওয়ে’র এক্সটেনশন রাস্তা পাকাকরণ প্রকল্প সমাপ্তির কাছাকাছি রয়েছে। হাইওয়ে’র প্রতিবেশী—২০তম ব্যুরোর নির্মিত মালকা—বাঙ্গুরা রেলপথের নির্মাণ কাজও শুরু হবে।
নিজের জন্মস্থানের পরিবহন খাতে অবদান রাখতে পেরে সিম্বি খুবই উত্তেজিত। তিনি বলেন, খুব ভাল! আমি শুধু বাসার সামনে রাজপথের নির্মাণ স্বচক্ষে দেখেছি তা নয়, বরং অব্যাহতভাবে নিজের বাসার সামনে রেলপথের নির্মাণে যোগ দিতে পেরেছি।লেখক: প্রেমা, সিএমজি।
ইবাংলা/জেএন/২২ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.