নড়াইল সদর উপজেলার সিংগিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের বিরূদ্ধে আবারও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একাধিক সদস্য ও এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম আবারও নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেছেন। তিনি প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে প্রার্থীদের সাথে দর কষাকষি করে আসছেন।
ধূর্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর এ দু’টি পদে চাকুরী দেয়ার জন্য প্রত্যেকটি পদের বিপরীতে ২জন করে মোট ৪জনের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা উৎকোচ নিয়েছেন। এ ৪ জনের মধ্যে যে কোন ২জনকে নির্বাচিত করার পর বাকি ২ জনের টাকা ফেরত দিবেন। অভিযোগ কারিরা জানান নিয়োগ বোর্ডের কোরাম ঠিক রাখতে একই পদে একাধিক প্রার্থীর নিকট হতে টাকা নিয়েছেন। যাতে চাকুরী পাওয়ার আশায় সকলেই পরীক্ষায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন…দক্ষিণ আফ্রিকায় নোয়াখালীল ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা
এ বিদ্যালয়ের শরীর চর্চা শিক্ষক অঙ্গত বিশ্বাসকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে তার নিকট হতে অনেক সুযোগ সুবিধা নিয়েছেন। এ কারনে শিক্ষক-কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানা গেছে দীর্ঘ এক যুগ এ বিদ্যালয়ের সভাপতির পদ দখল করে আছেন স্থানীয় কোমখালি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম।
ধূর্ত সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের ধোকা দিয়ে এবং নিয়োগ বোর্ড সংশ্লিষ্টদের মোটা অংকের টাকায় ম্যানেজ করে নিজ স্ত্রী নাদিরা সুলতানা মিরাকে আয়া পদে এবং ভাতিজা রাসেল মোল্যাকে পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করান।
এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে এবং দুর্নীতিবাজ সভাপতির অপসারনের দাবিতে এলাকাবাসি ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা গত ২২ মার্চ মানববন্ধন করেন। নিজ স্ত্রী ও ভাতিজার বেতন করানোর পর এবার প্রধান শিক্ষক ও সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জিন্নাহ মোল্যা জানান সভাপতি জাহাঙ্গীর একের পর এক নিয়োগ বাণিজ্য করে এলাকায় চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছেন। সভাপতির নিয়োগ বাণিজ্য, জালিয়াতি ও দুর্নীতির কারনে বিদ্যালয়টি হুমকির মুখে পড়েছে।
যে কোন মুহুর্তে নিয়োগ বোর্ড বসিয়ে এ দু’টি পদে চাকুরী দিয়ে কমপক্ষে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিবে দুর্নীতিবাজ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম। তিনি সভাপতির দুর্নীতি অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করতে নড়াইল-২ আসনের সাংসদ সহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম নিয়োগ বাণিজ্যের কথা অস্বিকার করে বলেন, নিয়োগ বোর্ডের খরচ যোগানোর জন্য প্রার্থীদের নিকট হতে কিছু টাকা নেয়া হয়।
ইবাংলা/জেএন/২৫ নভেম্বর ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.