বরগুনায় জমির মালিকানা না থাকা সত্তেও প্রত্যারণা করে টাকা নিয়ে জমি বিক্রি ও দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়েছে বলে মামলা করেন আব্দুর রশিদ। বরগুনার আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে করা এই মিথ্যা মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। এ কারণে মামলার বাদীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।সোমবার আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়।
আরও পড়ুন…অস্থিত রক্ষায় আ.লীগের নেতাকর্মিদের ঐক্যের বিকল্প নেই
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরগুনার তালতলী উপজেলার ৪২ নম্বর বড় নিশানবাড়িয়া মৌজার, এসএ ১৯৪, ১৯৫, ১৯৬ নম্বর খতিয়ানে ৩০টি দাগ উল্লেখ পূর্বক জমির মালিকানা না থাকা সত্তেও প্রত্যারণা করে টাকা নিয়ে উপজেলার ছোট আমখোলা গ্রামের বাসিন্দা ক্বারী আব্দুর রাজ্জাক, সিদ্দিকুর রহমান ও আব্দুল হক সাব কবলা মূলে একই এলাকার আব্দুর রশিদের কাছে জমি বিক্রি ও দলিল রেজিস্ট্রি করেছেন। এমন অভিযোগ এনে তিনজনের নামে মামলা করেন আব্দুর রশিদ।
২০২০ সালে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট বাকের খানের মাধ্যমে সিআর ৪৮৫ নম্বর ও ৪২০ ধারায় মামলাটি করা হয়। সেই মামলায় বাদীর উল্লেখিত বিষয়টি আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
এ কারণে বাদী আব্দুর রশিদকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আরিফুর রহমান।
এ বিষয়ে আইনজীবি অ্যাডভোকেট হরিহর চন্দ্র দাস বলেন, আমার মক্কেলদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক বাদীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের এমন রায়ে আমরা খুশি।
ইবাংলা/জেএন/৫ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.