নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সামনে নেতাকর্মীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। একইসঙ্গে ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশে করার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে তারা। বুধবার (৭ ডিসেম্বর ) রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে পুলিশি হামলা, গুলিতে নিহত ও নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
আরও পড়ুন…চীনে চিয়াং জে মিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ: শোকসভায় সি চিন পিং
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত এখনও বহাল আছে। কোনো অবস্থায় আমরা সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসব না। আমাদের সিদ্ধান্ত সমাবেশ করার। এখন যদি সমাবেশ করতে না দেয় তখন দেখা যাবে।
বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপির অবস্থা হেফাজতের মতো হবে। কিন্তু পুলিশ এভাবে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি চালাবে এটা আমরা ভাবতেও পারিনি। এই ঘটনার জন্য বিএনপি মোটেও প্রস্তুতও ছিল না। স্থায়ী কমিটির সভায় পুলিশের আক্রমণের ঘটনায় নেতাকর্মীরা হতভম্ব হয়ে গেছেন।
স্থায়ী কমিটির একাধিক সূত্র জানায়, রাতে বিএনপি কার্যালয়ে থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বোমা উদ্ধারের বিষয়টি নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে।
স্থায়ী কমিটির সদস্যরা মনে করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোমা উদ্ধারের ঘটনা পুরোটাই নাটক। এর আগেও এই ধরনের বোমা উদ্ধারের নাটক হয়েছে। পাগলেও বিশ্বাস করে না, কোনো দল তাদের অফিসে বোমা রাখবে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, আমাদের কল্পনায়ও ছিল না পুলিশ এভাবে নেতাকর্মীদের ওপর সমাবেশে তিন আগেই গুলি করবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, বিএনপিকে হেফাজতের মতো দমন করা হবে। কিন্তু আমরা ভাবতেও পারিনি পুলিশ গুলি করে ২ জনকে হত্যা করবে। এ রকম পরিস্থিতির জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
এ নেতা বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক না কেন, আমারা সমাবেশ থেকে পিছু হটব না। সমাবেশ পূর্ব নির্ধারিত ১০ তারিখে করার প্রস্তুতি আমাদের থাকবে। এখন তারা না করতে দিলে সেটা ভিন্ন বিষয়। তখন পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, বিএনপির তাদের কার্যালয়ে বোমা রাখবে এটা পাগলেও বিশ্বাস করে না। এটা যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাজানো নাটক তা সবাই জানে। আর নাটক করার জন্য তারা আগেই কার্যালয়ের সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলেছে। এইগুলো এখন আর মানুষকে খাওয়ানো যাবে না।
ইবাংলা/জেএন/৭ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.