রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি-১১কিঃমিঃ সড়কটি স্বাধীনতার ৫১ বছরেও স¤প্রসারণ হয়নি, চরম দূর্ভোগে এলাকার চলাচল করা সাধারন মানুষ। দেশের পূর্ব সীমান্তের এক মাত্র যোগাযোগ মাধ্যম রামু-নাইক্ষ্যংছড়ি সড়ক এর মাঝে সম্প্রতি সময়ে নাইক্ষ্যংছড়ি জারুলিয়াছড়ি বেইলি সেতুটির পাটাতন ভেংগে যাওযায় সাধারন যাত্রীরা চরম বিপাকে পড়ে। এ সড়কটি দেখবাল করেন বান্দরবান সড়ক বিভাগ, বর্তমানে বেইলি সেতুটি মেরামত কাজ চলছে শুধু মাত্র নামে।
এদিকে সড়কটির বর্তমানে চওড়া মাত্র ১০ ফুট কিছু অংশে ১১ ফুট । কার্ভান ভ্যানের প্রস্ত সাড়ে ৮ ফুট। দূরপাল্লার মালবাহি গাড়ির চওড়াও সাড়ে ৮ ফুট। আর নাইক্ষ্যংছড়ি-বান্দরবান সড়কে চলাচলকারী পূর্বানী বাস এ সড়কে চলাচল করলে আর কোন অংশই থাকে না সড়কের পাকা অংশে। সড়কে এভাবে গাড়ি চলাচল করে । এমন কি মানুষও হাটতে পারে না । এমতাবস্থায় বিপরীত দিক থেকে ট্রাক, মালামাল ও যাত্রীবাহি গাড়ি গুলোর কী অবস্থা হয় বলা মুশকিল বলে মন্তব্য করেন এ সড়ক তিয়ে গাড়ি চালকরা।
আরও পড়ুন…নড়াইল জেলা ট্রাক, ট্রাক্টর, কাভার্ড ভ্যান,ট্যাংকলরি,শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
চালক নুরুল ইসলাম বলেন, এ সড়কের দু-পাশের এবং পূর্বাংশের রয়েছে পাহাড় আর বিস্তৃর্ণ বনাঞ্চল। পাহাড়ের মাঝখানের সমতল ভূমির ধান ও খাদ্যের ক্ষেত-খামার আর নানা প্রজাতির ফলের বাগান। এ গুলো পরিবহনে লাগে ট্রাক বা মালবাহি গাড়ি। এ গাড়ি যাতায়াত করে এ সড়কে।
সড়কের কতৃপক্ষ সড়ক বিভাগ সাইনবোর্ড টাংগিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন ৫ টনের অধিক ভারী কোন যানবাহন এ সড়কে চলতে পারবে না।
যা এখন কেউ মানছে না। এখন চলে ২০ টনের অধিক পণ্যবাহী ভারী যান বাহন। উপায় না থাকায় এমন অবস্থা তাদের । যা পরিস্থিতির শিকার বলে দাবীও করেন ব্যবসায়ীরা। এখন গাড়ি চালক আর সাধারণ মানূষ কী করবে? তাদের তো ব্যবসা করতে হবে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবসার ইমন ও সাবেক প্রধান শিক্ষক মংশৈ প্রæ মার্মা বলেন, সড়কটি দূরত্ব মাত্র ১০ কিলোমিটার। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলো এখনও সে সড়কটি বেহাল অবস্থা। চওড়া অতি ছোট হওয়ায় গাড়ি চলাচলে নানা জটিলতা দীর্ঘ দিনের। বিশেষ করে দূর্ঘটনা এ সড়কের নিত্য সংগী। আমাদের দাবি দ্রæত এ সড়কটি যে সংস্কার করা হয়।
কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু মোঃ ইসমাঈল নোমান বলেন, সড়কের দু-পাশ ও পুর্বাংশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩ শতাধিক। এতে শিক্ষক শিক্ষার্থী আছে ৩০ হাজারাধিক। বিশেষ করে ককসবাজার জেলা খাদ্য-শস্য ভান্ডার খ্যাত কচ্ছপিয়া ও গর্জনিয়া ইউনিয়ন সহ সীমান্তের ৬ ইউনিয়নের উৎপাদিত পণ্য বেচাকেনার হাট গর্জনিয়া বাজারের পণ্য আমদানী-রপ্তানীতে রামু নাইক্ষ্যংছড়ি-গর্জনিয়া বাজার সড়কটির স¤প্রসারণ খুবই দরকার। সব স্থরের গাড়ি ও যাত্রী সাধারণের কষ্টের সীমা নেই বলে নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত সকলে।
ইবাংলা/জেএন/১২ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.