নোয়াখালীতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের আয়োজনে ১৮ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এই মেলার উদ্বোধন করেন বৃহত্তর নোয়াখালী মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান বেলায়েত।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বিদ্রোহী বাঙালির জয়’, এই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার স্লোগান। সে স্লোগানটি এখন যেন শুধু স্লোগানের জন্য ও মানার জন্য নয়, এ স্লোগানের ভেতর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের বাঙালিয়ানার আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের ঘাতকদের বিচারের দাবিতে সারাদেশ তখন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে গঠিত গণআদালতই মুক্তিযুদ্দের বিজয় মেলা শুরু করা ক্ষেত্রে মূল সূতিকাগার অনুপ্রেরণা।
আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে ট্রাক্টর চাপায় দিনমজুরের মৃত্যু
মাহমুদুর রহমান বেলায়েত আরও বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হওয়া মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ আন্দোলনকে প্রণোদিত করার আরো একটি কারণ। সেই ধারাবাহিকতায় আজ ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ থেকে ১৮ দিনব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা চলবে।
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ফরিদা খানম সাকি, জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলা পরিষদের সাবেক সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নোয়াখালীর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা কামাল উদ্দিন প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার সপক্ষে আজ আমরা ঐক্যবদ্ধ। বিজয় মেলার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চর্চায় জনমত তৈরি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা সবাই কাজ করে যাব বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন…নড়াইলে বিএনপি’র কমিটিতে নাম অন্তর্ভূক্ত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, মেলায় দেশি পণ্যের শতাধিক স্টল রয়েছে। প্রতিদিন মেলার মুক্তমঞ্চে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণা, বিষয়ভিত্তিক আলোচনা, মুক্তিযুদ্ধের কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও নাট্যানুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।
ইবাংলা/জেএন/১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.