মধ্যপ্রাচ্য ও ইতালিতে মহান বিজয় দিবস উদযাপন

প্রবাস বাংলা ডেস্ক

ইতালির মিলানে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল-এ যথাযথ মর্যাদায় বাংলাদেশের ৫১তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দিবসটি পালন করা হয়।

দিবসের প্রথম প্রহরে কনস্যুলেটের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতিতে সম্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মিলানোস্থ কনসাল জেনারেল এম জে এইচ জাবেদ।

অপরাহ্ণে কনস্যুলেট হলরুমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আলোচনা ও দোয়া মাহফিল পর্ব শুরু হয়।

এ সময় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর উপস্থিত সবাই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল বীরের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।

যথাযোগ্য মর্যাদায় ও উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে ৫১তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) কুয়েত বাংলাদেশ দূতাবাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়।

সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসেও আনন্দঘন পরিবেশে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী সৌদি আরবে বসবাসরত নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি ভালোবাসা, মহান মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানানোর জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহবান জানান।

তিনি বলেন, দূতাবাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবসময়ই স্কুলের শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া বিশেষ দিবসে প্রতিটি স্কুলেই শিক্ষার্থীদের নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে যাতে প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম দেশের ইতিহাস সম্পর্ক জানতে পারে ও তাদের মধ্যে দেশপ্রেম গড়ে ওঠতে পারে।

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিফেন্স এ্যাটাশে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল হাসানুজ্জামান।

আলোচনা সভায় বক্তারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার এবং মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করে বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতা প্রতিহত করতে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ সর্বদাই সজাগ থাকবে।

ইবাংলা/টিএইচকে

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us