জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০২৩ আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন দুই অংশে বিভক্ত নীলদল নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে।
এবারও নির্বাচনে অংশ নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদাদল। ৮ বছর পর এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও প্যানেল ঘোষণা করেননি তারা। নির্বাচনে সাদাদলের দেড় শতাধিক ভোটার হয়ে উঠেছেন নীল দলের জয়ী হওয়ার প্রভাবক।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় নীলদলের একাংশ এবং অপর অংশ দুপুর ২টায় জবি শিক্ষক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দুটি আলাদা নির্বাচনী ইশতেহার দেন।
দুপুর ১টার সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম-অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেল ঘোষণা করেন। প্যানেলের প্রার্থীরাঃ সভাপতি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, সহ-সভাপতি গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সারোয়ার আলম, কোষাধ্যক্ষ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিস বিভাগের মিরাজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের গোলাম আদম।
এই প্যানেলের সদস্য প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. মো আবুল হোসেন, রসায়ন বিভাগের মোহাম্মদ সৈয়দ আলম, পরিসংখ্যান বিভাগের সিদ্দিকুর রহমান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের নুরুল আমিন, একাউন্টিং এ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের আব্দুল মান্নান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের রফিকুল ইসলাম, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের আবদুল মালেক, অর্থনীতি বিভাগের দীপিকা মজুমদার, দর্শন বিভাগের নুসরাত জাহান পান্না ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সুমন কুমার মজুমদার।
অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারে উচ্চশিক্ষা, উচ্চপদে নিয়োগ, গবেষণা বিষয়ক, চাকরি বিষয়ক এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়।
ইশতেহারে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় সংবিধি বাস্তবায়ন ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ; প্রশাসনিক পদে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে নতুন নিয়োগ প্রদানসহ নতুন ক্যাম্পাসের কাজ ত্বরান্বিত করার কথা উল্লেখ করেন।
অপর দিকে নীলদলের অপর অংশ দুপুর ২টায় সাংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্বাচনী ইশতেহার দেন। এসময় অধ্যাপক ড.শাহজাহান-অধ্যাপক ড.জহির উদ্দিন আরিফ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
এই প্যানেলের প্রার্থীরাঃ সভাপতি হিসেবে প্রার্থী রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড.অধ্যাপক মো. শাহজাহান ও সাধারণ সম্পাদক পদে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো জহির উদ্দিন আরিফ। প্যানেলের নির্বাহী পদে সহসভাপতি হিসেবে সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড.উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য; কোষাধ্যক্ষ পদে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সুরঞ্জন কুমার দাস; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ইতিহাস বিভাগের আব্দুস সামাদ নির্বাচন করবেন।
এছাড়া সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে রয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড.দোলন রায়, প্রান রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের রফিকুল ইসলাম, মার্কেটিং বিভাগের ফারিজুল ইসলাম, সংগীত বিভাগের মাহমুদুল হাসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাজিয়া আরিফ, ফিন্যান্স বিভাগের আয়েশা আক্তার, আইইআর এর কাজী ফারুক হোসেন, দর্শন বিভাগের সাজিয়া আফরিন, চারকলা বিভাগের রাসেল রানা ও আইএমএল এর বেনজির এলাহী মুন্নি।
অধ্যাপক মো. শাহজাহান ও জহির উদ্দিন আরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির বর্তমান সমস্যা নিরসন, শিক্ষকদের মান বৃদ্ধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশীপ ব্যবস্থাকরণসহ মোট ২৬ টি বিষয় সামনে রেখে ইশতেহার ঘোষণা করেন। এর বাইরেও সাংবিদকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তারা।
শিক্ষকদের এ নির্বাচনে ১৫টি পদের বিপরীতে লড়ছেন ৩০ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ পদে একজন করে নির্বাচিত হবেন এবং সদস্য পদে ১০ জন শিক্ষক নির্বাচিত হবেন। ৬৭৫ জন শিক্ষক এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তবে সার্বিক বিষয়ে জবিশিস কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের প্রধান কমিশনার ও প্রানীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল আলীম বলেন, ২১ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটার ও প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচন হবে।
ইবাংলা/আর আর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.