নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেফতার ২

নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীল কবিরহাট উপজেলায় মো.মেজবাহ উদ্দিন রাব্বি (২৫) নামের এক অটোরিকশা চালককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ এজাহার নামীয় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে। তবে পুলিশ এ হত্যাকান্ডের তাৎক্ষণিক কোন কারণ জানাতে পারেনি। গ্রেফতার মো.রাসেল (৩০) উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের এনায়েত নগর এলাকার হোসেন সর্দার বাড়ির মৃত সফি উল্লার ছেলে ও মাইন উদ্দিন (২৮) কবিরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার হাসান আলী মেস্ত্রী বাড়ির মো.আবদুল হকের ছেলে।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে অটোরিকশা ছিনতাই করতে চালককে কুপিয়ে হত্যা

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে দুই আসামিকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনার কয়েক ঘন্টার মধ্যে রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনার সোমবার সকালে নিহতের মা তাজনাহার বেগম বিজলী বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখ করে কবিরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। কবিরহাট থানায় যাহার মামলা নং-৫। এর আগে, গতকাল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের কবিরহাট সরকারি কলেজের পশ্চিমে এনায়েত নগর সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কবিরহাট পৌরসভার এনায়েত নগর এলাকার মো.রাসেল (৩০), তার ভাই মো. রুমেজ (২৯) ও কবিরহাট পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষবাগ এলাকার হাসান আলী মেস্ত্রী বাড়ির মো.আবদুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন (২৮) সহ অজ্ঞাত ২-৩জনের সাথে নিহত অটোরিকশা চালক মেজবাহ উদ্দিন রাব্বির (২৮) অটোরিকশা চালানো নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

এই বিরোধের জের ধরে গতকাল সন্ধ্যায় রাব্বি অটোরিকশা নিয়ে কবিরহাট বাজারে যাওয়ার পথে এজাহার নামীয় তিন আসামি সহ অজ্ঞাত ৮-১০জন পরস্পর যোগসাজশে তাকে ধারালো দা, ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে এনায়েত নগর এলাকার পুকুর পাড়ের ঝোপে ফেলে দেয়।

স্থানীয়দের ধারণা অটোরিকশা ছিনতাই করতে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় একরাম নামে এক যুবক অভিযোগ করে বলেন,স্থানীয় একজন প্রত্যক্ষদর্শী মুরুব্বি জানিয়েছে কবিরহাট পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের জৈনদপুর গ্রামের সর্দার বাড়ির সফির ছেলে রাসেল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.শ্যামল কুমার দেবনাথ জানান,ওই যুবককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

আরও পড়ুন…বঙ্গবন্ধু হত্যার রায়ের মাধ্যমে বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয় : প্রধানমন্ত্রী

অপর এক প্রশ্নের জবাবে (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পুলিশ বাদীর অভিযোগ আমলে নিয়ে কাজ করছে। তবে পুলিশ এই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং এজাহার নামীয় পলাতক অপর আসমিকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।

ইবাংলা/জেএন/২৬ ডিসেম্বর, ২০২২

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us