নোয়াখালীতে আনন্দগণ পরিবেশের মধ্য দিয়ে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক ও ৩১৩টি মাধ্যমিক এবং ২৭৫টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হয়েছে। চাহিদা পরিমাণ বই এখনই না পাওয়া যায়নি বলে জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। তবে কয়েক দিনের মধ্যে সকল বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে পারবেন বলে আশা করছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা। তবে মোট ঘাটতি রয়েছে প্রায় ৩৬ লাখ নতুন বইয়ের।
আরও পড়ুন…স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার পাশে কান্না করছিল শিশু
রোববার (১ জানুয়ারি) দুপুরে চাটখিলের কড়িহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী আলহাজ¦ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, জেলার ২০০৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন বইয়ের চাহিদা ছিলো ১৭লাখ ১২হাজার ৫৫৭ পিস, যার বিপরীতে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা ৩লাখ নতুন বই হাতে পেয়েছি, যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির বই রয়েছে।
তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই এখনো হাতে এসে পৌঁছায়নি। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত বইগুলো ‘বই উৎসব’ এর মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আগামি কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের চাহিদা মোতাবেক সকল বই হাতে আসবে এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর উদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে জেলার ৩১৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ২৭৫টি মাদ্রাসায় আমাদের নতুন বইয়ের চাহিদা ছিলো ৫৪লাখ ১৭হাজার ৭৪৭পিস। যার বিপরীতে আমরা নতুন বই সরবরাহ পেয়েছি ৩২লাখ ৬৭হাজার ২৮৫পিস।
বই উৎসবের মাধ্যমে প্রাপ্ত বইগুলো উপজেলা থেকে বিদ্যালয় ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বাকী বই গুলো এলে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/১ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.