ধর্ম সম্পর্কে অনুসন্ধানে নামলে এর পেছনে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসবে। পৃথিবীর সব ধর্মই তার নিজ নিজ বিধানমতে চলতে বললেও কিছু কিছু মানুষ যুগ যুগ ধরে ধর্মের বিধানমতে না চলে ধর্মকে নিজের স্বার্থে ও মতে ব্যবহার করেছে।ঠিক এ অবস্থায় পৃথিবীতে তিন শ্রেণির মানুষ গড়ে উড়েছে। আর তারা হল –
১। ধর্মপালনে সর্বোচ্চ চেষ্টাকারী আস্তিক।
২। ধর্মবিহীন আস্তিক ।
৩। ধর্মহীন নাস্তিক। আর গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্রসংখ্যক (প্রায় ৩ শতাংশ ) নাস্তিক ধর্ম মানেন না বলে ঘোষণা দিলেও তারা মানবতাবাদের কথা বলেন। অথচ এ মানবতাবাদটা মূলত ধর্মেরই কথা।
ধর্মবিহীন আস্তিক আর ধর্মহীন নাস্তিকদের প্র্যাকটিকাল জীবনদর্শন অনেকটা কাছাকাছি। এ দুই শ্রেণির মানুষের পরিবারে, সামাজিক আচার-আচরণে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শনে প্রায় একই সুর প্রতিধ্বনিত হতে দেখা যায়।
নাস্তিকতার স্লোগান যেহেতু ধর্মীয় সমাজে অচল, তাই তারা ধর্মবিহীন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর আস্তিকদের সহায়ক ও নেয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে।আর তারাই হীন স্বার্থ উদ্ধারে নিজ নিজ আদর্শ মাটিচাপা দিয়ে ক্ষমতাসীনদের পদলেহন, চামচামি আর নির্লজ্জ দলবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
এদের নিজেদের কোনো ধর্ম,কালচার বা সংস্কৃতি নেই।এরা নিজেদের স্বার্থে এবং প্রয়োজনে যখন তখন দল-মত পরিবর্তন করেন এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন । আর এর ফলেই সমাজে ধর্মের নামে সবচেয়ে বেশী বিশৃংখলা তৈরী হয়।
ইবাংলা/জেএন/১৬ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.