বরগুনার বামনায় সরকারি খাল ভরাট ও কালভার্টের সম্মুখ দখল করে আওয়ামী নেতার বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বামনার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সততা মিলেছে।
অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতার নাম শওগাতুল ইসলাম জলিল। তিনি উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের আপন ছোট ভাই।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের গুদিঘাটা বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গুদিঘাটা খাল। এই খালে বাজার সংলগ্ন নির্মিত কালভার্টের এক পাশে মাটি ভরাট করে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওগাতুল ইসলাম জলিল। এই খালের উপর নির্ভর করে এলাকার শতশত একর ফসলী জমিতে চাষাবাদ করছে কৃষকরা। তবে এভাবে খাল-কালভার্ট দখল হয়ে যাওয়ায় অস্তিত্ব সঙ্কটে খালটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গুদিঘাটা বাজার সংলগ্ন খালের পানি নিষ্কাশনের জন্য কিছুদিন আগে একটি কালভার্ট নির্মান করেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনা। কিন্তু কালভার্টটি সম্মুখ অংশ ভরাট করে বহুতল স্থায়ী ইমারত নির্মান করছেন এই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শওগাতুল ইসলাম জলিল।
নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী হওয়ায় জলিলের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলে না। তিনিসহ আরও অনেক প্রভাবশালী এভাবে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। তিনি এই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ভাই। তারা এভাবে সরকারি খাল দখল করতে থাকলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে খালটি।
অভিযুক্ত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওগাতুল ইসলাম জলিল বলেন, আমি রেকর্ডি সম্পত্তিতে আমরা ভবন করতেছি। যখন কালভার্টটি করা হয়েছে তখন রেকর্ডি সম্পত্তির উপর করেছে। তাছাড়া খালের অর্ধেক আমাদের রেকর্ডিও সম্পত্তির ভিতরে।
আরও পড়ুন…২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন অ্যাম্বুলেন্সের চালক
এ বিষয়ে বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হাওলাদার বলেন, দখলের বিষয়ে আমি সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মেপে দেখবো। যদি এ জমিটা সরকারি জায়গায় কিনা যদি সরকারি জায়গা হয়, তাহলে আমরা ওটা দখলকৃত ভবন ভেঙ্গে দিয়ে তার বিরুদ্ধে আইনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইবাংলা/জেএন/১৭ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.