পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান অভিযোগ করেছেন, ফেডারেল সরকার তাকে রাজনীতি থেকে তাড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, `তারা সাধারণ নির্বাচনের আগে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।’ দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় এনডিটিভি।
সারা দেশে তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার কথা উল্লেখ করে, ইমরান খান যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সম্প্রচারের সঙ্গে এক সাক্ষাত্কারে বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বলেন, ‘আমাকে রাজনীতি থেকে অযোগ্য করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, এজন্য প্রতিদিন আমার বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়ের করা হচ্ছে।’
তবে, তিনি দাবি করেছেন, এমন কোনো মামলা নেই যা আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করতে পারে। উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
এছাড়া, ২০২২-এর অক্টোবরে তোশাখানা রেফারেন্সে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) তাকে অযোগ্য ঘোষণা করেছিল।
২০২২ সালের আগস্টে, ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির স্পিকার রাজা পারভেজ আশরাফ তোশাখানা কেলেঙ্কারির আলোকে পিটিআই প্রধানের অযোগ্যতা চেয়ে একটি রেফারেন্স পাঠিয়েছিলেন। ২৮ পৃষ্ঠার রেফারেন্সে বলা হয়, ইমরান খান তোশাখানার ৫২টি উপহারসামগ্রী আইন ও নিয়ম লঙ্ঘন করে গ্রহণ করেছে এবং কিছু মূল্যবান ঘড়িসহ বেশিরভাগ উপহার বাজারে বিক্রি করেছে।
উপহারগুলোর মূল্য ১৪০ মিলিয়নের বেশি। উপহারগুলো আগস্ট ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ এর মধ্যে গৃহীত হয়েছিল। এদিকে, ১১ অক্টোবর, এফআইএ পিটিআই চেয়ারম্যানকে নিষিদ্ধ তহবিল মামলায় মামলা করেছে কারণ সংস্থাটি এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে।
ইবাংলা/জেএন/২১ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.