দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের শেষ পাঁচ মাসে ৪০৮টি অভিযোগের অনুসন্ধানে কোনো তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। সে কারণে কোনো মামলা দায়ের না করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় দুদক। এ সংক্রান্ত মোট ৪০৮টি চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পুরো নথি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
এ তালিকায় আছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের দিলীপ কুমার আগারওয়াল, পিপলস লিজিংয়ের পরিচালক ক্যাপ্টেন মোয়াজ্জেম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদুল ইসলাম, রাউজকের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হুদা ও হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক কফিল উদ্দিন। হাইকোর্টে দাখিল করা দুদকের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, ২০২১ সালের ১৬ মার্চ দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্তি) দিয়েছেন তার তালিকা চান হাইকোর্ট।
একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আসার পর বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদককে এ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ইকবাল মাহমুদ দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে যোগ দেন। ২০২১ সালের ১০ মার্চ তিনি অবসরে যান।
ইবাংলা/জেএন/২২ জানুয়ারি, ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.