পরকিয়া প্রেমের জের ধরে স্বামী আবু সোলাইমান মাহমুদ মহুরীকে (৩৫) হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে নোয়াখালীর একটি আদালত। এ সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, নিহতের স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি, বেগমগঞ্জ উপজেলার রায়কৃষ্ণপুর গ্রামের কালা মিয়ার ছেলে হেঞ্জু মিয়া (৫০) ও সদর উপজেলার আনোয়ার উল্লাহর ছেলে সামছুদ্দিন (৪০)। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নোয়াখালী বিশেষ জজ আদালতের বিচারক এএনএম মোর্শেদ খান এ রায় দেন।
আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ৭ মার্চ আবু সোলাইমান মাহমুদ মহুরী অপহরণের অভিযোগ এনে সুধারাম থানায় মামলা দায়ের করেন স্ত্রী রহিমা আক্তার ধনি।
এরপর মামলার তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান ঘটনার এক বছর পর ১৯৯৮ সালে ২৮ মে অজ্ঞাত একটি মরদেহ উদ্ধার করেন। তদন্তে জানা যায়, মরদেহটি সোলেমান মুহুরীর।
স্ত্রী রহিমা আসামি হেঞ্জু মিয়ার সঙ্গে পরকিয়ায় জের ধরে স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে তারা। গৃহশিক্ষক সামছুদ্দিন টাকার লোভে হত্যাকান্ডে সঙ্গে জড়িত পড়ে।
তখন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্ত্রীসহ ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্বামী খুনের দায় স্বীকার করে স্ত্রীসহ ৩ আসামি আদালতে জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন…স্বাস্থ্য ঝুকিতে জবির একমাত্র ছাত্রীহল, খাবারে তেলাপোকা
মামলার সরকারি কৌঁসুলী মো. এমদাদ হোসেন কৈশোর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৬ বছর পর ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ মামলার রায় প্রদান করে। আসামিরা জামিন নিয়ে বের হওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
ইবাংলা/ জেএন/ ৩ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.