চোটের কারণে বিশ্রামে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। দলকে নেতৃত্ব দেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। তবে মাশরাফির অভাবটা ভালোই বোধ করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।সিলেটে প্রথম দেখায় রংপুরের বিপক্ষে একশো রানও করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স।
রংপুর রাইডার্সের কাছে ৬ উইকেটে হার মেনেছিল মাশরাফি বিন মর্তুজার দল। এবার সেই রংপুরের বিপক্ষে দ্বিতীয় দেখায় বড় রান তুলেও হার এড়াতো পারলো না সিলেট। এবার হারতে হলো আরও বড় ব্যবধানে ৮ উইকেটে হারলো সিলেট ।
এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ফরচুন বরিশাল আর কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ধরে ফেলেছে নুরুল হাসান সোহানের দল। রানরেটে পিছিয়ে থাকায় তারা আছে চারে।
১৭১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা রংপুরকে সহজ জয়ের পথ দেখিয়ে দেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার আর নাইম শেখ। ৩৫ বলে ৮ চার আর ৩ ছক্কায় রনি খেলেন ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ৩২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪৫ করেন নাইম।
এরপর শোয়েব মালিক আর নুরুল হাসান সোহান মিলে বাকি পথটা অনায়াসে পাড়ি দিয়েছেন। শোয়েব ২৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন, ১৭ বলে ১৭ করে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক সোহান। এর আগে রংপুর রাইডার্সের বোলারদের হাত খুলে খেলতে পারছিল না সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১০ ওভারে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৫৫। সেই দলটিই ২০ ওভার শেষে তুলেছে ২ উইকেটে ১৭০ রান!
শেষ ১০ ওভারে রংপুরের বোলারদের তুলোধুনো করে সিলেট তুলেছে ১১৫ রান। যার পুরো কৃতিত্বই দুই ব্যাটার তৌহিদ হৃদয় আর মুশফিকুর রহিমের। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীর সূচনা করে সিলেট। ২২ বলে ১৫ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন নাজমুল হোসেন শান্ত। জাকির হাসানকে (৭ বলে ৭) তুলে নেন শেখ মেহেদি।
আরও পড়ুন…দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে
এরপরের সময়টা শুধুই হৃদয় আর মুশফিকের। ৫৭ বলে তারা যোগ করেন ১১১ রান। মুশফিক ৩৫ বলে খেলেন ৫৫ রানের হার না মানা ইনিংস, যে ইনিংসে ৫টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কা হাঁকান মিস্টার ডিপেন্ডেবল। হৃদয় আরও একবার দুর্দান্ত উইলোবাজি দেখিয়েছেন। ৫৭ বলে তিনি করেন অপরাজিত ৮৫, যে ইনিংসটি হৃদয় সাজিয়েছিলেন ১৩ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায়।
ইবাংলা/ জেএন/৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.