হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমান সরকার হাঙ্গর ও শাপলাপাতা প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, অনুমোদিত কর্মপরিকল্পনা ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি এন্ড প্ল্যান অব একশন ফর শার্ক এন্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’ হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের অতিরিক্ত ও অনাকাঙ্খিত আহরণ কমাতে এবং ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ বিলুপ্তির ঝুঁকিতে থাকা ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলাপাতা মাছ প্রজাতির মাছের সংখ্যা হ্রাসরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

মন্ত্রী বলেন, উন্নত ব্যবস্থাপনা, নিয়মিত মনিটরিং, আইনের প্রয়োগ এবং স্টেকহোল্ডারদের সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হবে।

বন ও পরিবেশ মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সুফল প্রকল্পের আওতায় নেওয়া ২টি হাঙ্গর প্রজাতি ও ২টি শাপলা পাতা মাছ প্রজাতির ‘নন ডেট্রিমেন্ট ফাইন্ডিংস’ এবং ‘ন্যাশনাল কনজারভেশন স্ট্রাটেজি এন্ড প্ল্যান অব একশন ফর শার্ক এন্ড রেজ ইন বাংলাদেশ ২০২৩-২০৩৩’র অনুমোদন সংক্রান্ত এক সভায় এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন…জাতীয় স্মার্টকার্ডে গতি ফিরবে কবে?

শাহাব উদ্দিন বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছ আমাদের উপকূলীয় এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তবে অতিরিক্ত মাছ ধরা এবং এদের দেহাংশের অবৈধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এদের অস্তিত্বকে হুমকির মুখে ফেলছে।

তিনি বলেন, বিলুপ্তির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের প্রজাতি আমাদের জাতীয় আইন দ্বারা কঠোরভাবে সুরক্ষিত। সমস্ত আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে এ সকল প্রজাতিকে সুরক্ষা দিতে কার্যকরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এসকল প্রজাতির বিলুপ্তি রোধে ও অবৈধ বন্যপ্রাণী বাণিজ্য বন্ধ করতে কাস্টমস, পুলিশ, বর্ডার গার্ড, নৌবাহিনী, উপকূলরক্ষী এবং নৌ পুলিশের সহায়তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বনমন্ত্রী বলেন, এই কৌশলগত পরিকল্পনাটি বিভিন্ন সংস্থা, অধিদপ্তর, মন্ত্রণালয়, ব্যবসায়ী, সম্প্রদায় এবং বিদেশী পরামর্শকের সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, হাঙ্গর ও শাপলাপাতা মাছের জন্য তৈরি করা এই কর্মপরিকল্পনা শুধুমাত্র এই দু’প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া পদক্ষেপের কৌশলগত দিকনির্দেশিকা নয়, এদের অবস্থার উন্নতির জন্য অনুকরণীয় একটি গাইডলাইন।

আরও পড়ুন…এইচএসসি ও সমমানে পাসের হার ৮৫.৯৫

সভায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মিজানুল হক চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মো. মনিরুজ্জামান. অতিরিক্ত সচিব (পদূনি) মো. মিজানুর রহমান, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায়, ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটির সিনিয়র ম্যানেজার এলিজাবেথ ফার্নি মনসুরসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইবাংলা/টিএইচকে

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us