ঋণ থাকলে অথবা ঋণের টাকায় হজ করা যাবে!

ইসলাম ডেস্ক

হজ আরবি শব্দ।হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। হজ ফরজ ইবাদত। তবে তা সবার জন্য ফরজ নয়, যারা হজ করার সামর্থ্য রাখে কেবল তাদের ওপরই হজ ফরজ। স্বাধীন এবং সামর্থ্যবান নারী-পুরুষদের জন্য জীবনে একবার হজ ফরজ।

হাজীরা হলেন আল্লাহর মেহমান। আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়া কবুল করেন। তাদের গুনাহ ক্ষমা করেন। মানুষের হায়াত এবং মাউতের যেহেতু কোনো গ্যারান্টি নেই, তাই কারো ওপর হজ ফরজ হওয়ার সাথে সাথে তা আদায় করে ফেলাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।

কিন্তু কেউ যদি ঋণ করে হজ করতে চায়, তবে সে হজ করতে পারবে কি? হজ সম্পর্কে অনেকের ধারণা সুস্পষ্ট নয়। হজ সবার ওপর ফরজও নয়। যারা কাবা শরিফ যাওয়ার সার্মথ্য রাখে তাদের জন্য জীবনে একবার হজ করা ফরজ। কোরআনুল কারিমের ঘোষণাও এমনই। আল্লাহ তাআলা বলেন-

وَلِلّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلاً

‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (কাবা শরিফ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ।’ (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৯৭)

হ্যাঁ, ঋণ করে হজ করা যাবে। যদি এ ঋণ পরিশোধ করার সহজ উপায় থাকে। কিংবা যার কাছ থেকে ঋণ নেওয়া হবে, তার থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য তাগাদা না থাকে। অন্যথা ঋণ করে হজ না করাই ভালো। কারণ সম্ভবত ঋণ করার পর তা পরিশোধ করার সামর্থ্য নাও হতে পারে। আবার রোগাক্রান্ত বা মৃত্যু হলে এ ঋণ পরিশোধ নাও হতে পারে।

অতএব হজ করার জন্য পূর্ণ সামর্থ্যবান হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাই উত্তম। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব সামর্থ্যবানকে সময় মতো হজ করার তাওফিক দান করুন। ঋণ করে হজ করলে সে ঋণ পরিশোধের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ইবাংলা/ জেএন/৯ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.

Contact Us