পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গত রোববার বলেন, নতুন সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব সরকার পরিবর্তনের পরীক্ষা ব্যর্থ হয়েছে। আমেরিকান মিডিয়া ভয়েস অফ আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পিটিআই প্রধান এ কথা বলেন।
পাকিস্তানের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত সেনাবাহিনীর নেতৃত্বর মধ্যেও বুঝতে পেরেছে শাসন পরিবর্তনের (ক্ষমতা পরিবর্তন) পরীক্ষা ভুল প্রমাণিত হয়েছে।’ গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতা হারান ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া ইমরান খান।
তখন থেকেই ইমরান খান তাকে ক্ষমতা থেকে হটানোর জন্য তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়াকে দায়ী করে আসছিলেন। তাকে অপসারণের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রয়েছে বলেও সেই সময় অভিযোগ করেন তিনি।
পিটিআই প্রধান জানান, নির্বাচিত সরকারের অবশ্যই দায়িত্বের পাশাপাশি কর্তৃত্ব থাকতে হবে। অন্যথায় একটি দেশের সিস্টেম ব্যর্থ হবে (সমস্ত ব্যবস্থাপনা ব্যর্থ)। এই ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব জনগণ ভোটের মাধ্যমে দিয়েছে।
ক্ষমতা ও কর্তৃত্বকে আলাদা করা যায় না। দুইটি জিনিস আলাদা হলে কোনো সিস্টেম কাজ করবে না। কর্তৃত্ব যদি সেনাপ্রধানের হাতে থাকে এবং দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর হাতে থাকে, তাহলে কোনো ব্যবস্থাই কাজ করবে না বলে জানান ইমরান খান।
প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন ছিল- এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরান খান জানান, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সব নীতিই একজন ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন…কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী তানবীরকে সংবর্ধনা
সেনাবাহিনী (পাকিস্তান) বলতে একক ব্যক্তিকে বোঝায় তা হলো সেনাপ্রধান। তাই সামরিক ও বেসামরিক সরকারের সম্পর্ক এক ব্যক্তির ওপর নির্ভর করে।
ইবাংলা/ জেএন/১৪ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.