বরগুনায় বোনকে হত্যার সুষ্ঠ বিচার পাওয়া ও প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, সর্বস্তরের জনগণসহ সাংবাদিকবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের বোন রুকাইয়া বেগম নামের এক নারী।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনা সাংবাদিক ইউনিয়ন মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। রুকাইয়া বেগম নিহত মিতুর বোন ও সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে।
নিহত মিতুর বোন রুকাইয়া বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ৩০ জানুয়ারী সকাল ১০টার সময় জনৈক জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী মুঠোফোন কলে জানতে পারেন বোন মিতু ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের চরকগাছিয়া গ্রামে তার স্বামী সাইফুল ইসলামের বসত ঘরের দক্ষিণ পশ্চিম রুমে ফ্যানের সাথে ঝুলতে ছিল।
আরও পড়ুন…জঙ্গী ও সন্ত্রাসীদের যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে : বীর বাহাদুর
সংবাদ পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা গিয়ে সাইফুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে আমার বোনের মরদেহ খাটের উপর শোয়ানো দেখতে পাই। পরে পুলিশ গিয়ে আমার বোনের মরদেহ উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে আমার বাবার বাড়িতে নিয়ে দাফন করি।
রুকাইয়া বেগম তার লিখিত বক্তব্যে কিছু করন উল্লেখ করে বলেন, আমার বোনের হত্যাকারী জানাজা নামাজে অংশ করেন নাই। ঝুলন্ত অবস্থায় আমার বোনের পা ভাজ হওয়া অবস্থায় খাটের উপরে মিলিত ছিলো। এছাড়াও খাটের উপরে রাখা চেয়ারটি খাটের উপরেই ছিলো।
আরও পড়ুন…বইমেলায় পাওয়া যাচ্ছে ‘বাংলা ভাষার সহজপাঠ’
মৃত্যুর কিছু সময় পরেই আমার বোনের পেট ৭/৮মাসের গর্ভবতী মহিলাদের মত ফুলে উঠেছিল, মনে হচ্ছে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার বোনকে হত্যা করে ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখার নাটক সাজানো হয়েছে।
আমার মৃত বোনের গলায় স্পষ্ট ঠালা ঠালা দাগসহ শরীরে মাছি পরা এবং পোসমার্টের সময় মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ বের হয়।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জেনেছি মৃত্যুদেহটি আজকের মরা নয় বরং আগের।
আমার বোন জীবিত থাকা অবস্থায় আমার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো হত্যাকারী সাইফুল ইসলাম। ঘটনার এতদিন পরেও আমার বোনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়নি।
এসময় কান্না জড়িত কন্ঠে রুকাইয়া বেগম আরো বলেন, পুলিশ এখনো হত্যাকারীর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। পুলিশ হেফাজতে নিয়ে সাইফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই মিতু হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন হবে আমি মনেকরি।
আরও পড়ুন…একইপরিবারে ৪টি শিশুর জন্ম সহযোগিতায় ‘ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটি’ সংগঠন
আমি এই ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি, যাতে আর কোন বাবা মায়ের কোল খালি না হয়, কোন বোনকে যেন তার বোন হাড়াতে না হয়।
ইবাংলা/ জেএন/১৮ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.