স্বাধীনতার ৫১ বছরে এ যেন অচেনা এক বাংলাদেশ। তলাবিহীন ঝুড়ির তকমা পাওয়া দেশটি এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ব বাজারে পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের অবস্থান চীনের পরেই। রপ্তানির ঝুড়িতে আছে চামড়া, ওষুধ, সিরামিকের মতো নানা পণ্য। গত এক দশকে দেশে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি গড়ে তোলা হচ্ছে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। প্রায় ৫০০ কোটি ডলার জিডিপির বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির সক্ষমতা অর্জন করা। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে শনিবার (১১ মার্চ) শুরু হতে যাচ্ছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’।
আরও পড়ুন: ফের পিছিয়েছে রাজাকারদের তালিকা
প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে বিজনেস সামিটের আয়োজন করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১ থেকে ১৩ মার্চ তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই সামিটে অংশ নেবে দুই শতাধিক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী।
এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন জানান, বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিংয়ের পাশাপাশি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
তিনি বলেন, আমাদের ট্রিলিয়ন ডলারের যেই যাত্রা, সেই যাত্রাতে নতুন বাংলাদেশকে প্রমোট করা, বাংলাদেশে যে একটি বিশাল মার্কেট রয়েছে, আমাদের ১৭ কোটি লোকের নিজস্ব বাজার, সেটিকে তুলে ধরার জন্য আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।
সংগঠনটির সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেন, আমাদের বাংলাদেশ যে ওপরের দিকে যাচ্ছে, সেটি জানান দেওয়ার জন্য এই বিজনেস সামিট। আসুন একসঙ্গে আমরা বড় হই।
বিজিএমইএ’র সহসভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, আমাদের দেশে আরও বেশি বিদেশি বায়ার আসুক এবং তারা আমদের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারও বিনিয়োগ করুক।
আরও পড়ুন: রাজধানীসহ দুই বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা
ব্যবসায়ীরা বলছেন, সামিটের মাধ্যমে বাংলাদেশ হতে পারে বৈশ্বিক বিনিয়োগের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র।
বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, পুরো ব্যবসায়িক খাত নিয়ে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দিকের যারা রয়েছে, তারা এটি নিয়ে ভাববে এবং বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন পোলারাইজেশন হবে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে যাবে।
এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সামিটে বৈশ্বিক ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারীসহ দুই শতাধিক বিদেশি অতিথি অংশ নেবে। দেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের সম্ভাবনা, বাধা এবং উত্তরণের উপায় খুঁজে বের করতে অনুষ্ঠিত হবে ৩টি প্ল্যানারি সেশন, ১৩টি প্যারালাল সেশনের পাশাপাশি বিটুবি মিটিং ও নেটওয়ার্কিং সেশন। তিন দিনব্যাপী সামিটের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.