আল্লাহ তায়ালা মুসলমানদের উপর রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ করেছেন এবং রোজাদারদের জন্য বিপুল সওয়াবের ওয়াদা করেছেন। হাদিসে কুদসিতে এসেছে- ‘রোজা আমার জন্য; আমিই রোজার প্রতিদান দিব।’
আরেক হাদিসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, বনি আদমের প্রত্যেকটি আমল তারই; শুধু রোজা ছাড়া। রোজা আমার জন্য; আমিই এর প্রতিদান দিব।
রোজা হচ্ছে- ঢালস্বরূপ। যেদিন তোমাদের কেউ রোজা রাখে সে যেন অশ্লীল কথা না বলে, চেঁচামেচি না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় সে যেন বলে, আমি রোজাদার।
আরও পড়ুন>> রমজান মাসের অফিস সূচি জানালেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব
ওই সত্তার শপথ যার হাতে রয়েছে মুহাম্মদের প্রাণ, রোজাদারের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট মিসকের সুবাসের চেয়ে উত্তম। রোজাদারের জন্য রয়েছে দুইটি খুশি। যখন রোজা ইফতার করে তথা রোজা ভাঙ্গে তখন একবার খুশি হয়। আবার যখন তার রবের সাক্ষাত পাবে তখন একবার খুশি হবে।’ (সহিহ বুখারি, ১৭৭১)
রমজান মাসের অসংখ্য ফজিলত রয়েছে। এ ফজিলতের মধ্যে অন্যতম একটি হলো রোজাদারদের জন্য জান্নাতে বিশেষ একটি দরজার সুসংবাদ।
আল্লাহ তায়ালা রোজাদারদের জন্য ‘রাইয়্যান’ নামক জান্নাতের দরজা প্রস্তুত রেখেছেন। এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদাররাই প্রবেশ করবে, অন্য কারো প্রবেশের অনুমতি থাকবে না।
আরও পড়ুন>>ফুটপাতে চাঁদাবাজি ও সাধারণের দুর্ভোগ
এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘জান্নাতের একটি দরজা আছে; যার নাম হচ্ছে- ‘রাইয়্যান’কেয়ামতের দিন এ দরজা দিয়ে শুধু রোজাদারগণ প্রবেশ করবে; অন্য কেউ নয়।
এই বলে ডাকা হবে- রোজাদারগণ কোথায়? তখন রোজাদারগণ উঠে প্রবেশ করবে; অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। তারা প্রবেশ করার পর সে দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে। ফলে আর কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’ (সহিহ বুখারি, ১৭৬৩, সহিহ মুসলিম, ৯৪৭)
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.