দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে মা ও শিশু হাসপাতাল হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে চলছে। মাতৃ ও শিশু মৃত্যু রোধ করে বিশ্বের কাছে আমরা প্রশংসিত হয়েছি। আগামীতে এই সেবাকে আরও জোরদার করতে প্রতি জেলায় ৩০ থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতাল করা হবে। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে (নিপসম) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন…জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে র্যাব
মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। যে জাতি ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না, সে জাতি উন্নত হতে পারে না। তবে, দেশে এখনও শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি, বাল্যবিবাহ এখনও হচ্ছে। আমাদেরকে সেদিকে এখন লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের শিশু নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, শিশুরা নিজ পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও নির্যাতনের শিকার হয়। এ বিষয়ে আমাদের অভিভাবকদের সচেতনতা জরুরি। মনে রাখতে হবে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে সবার আগে স্মার্ট পরিবার গড়তে হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশ এখন পোলিও মুক্ত হয়েছে, টিটেনাস থেকেও মুক্ত হয়েছে। ইপিআইয়ের মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেওয়ার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা শিশুদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করেছি, বড় হাসপাতালগুলোতে আলাদা শিশু কর্নার করে দিয়েছি। অটিস্টিক শিশুদের জন্য আলাদা স্কুলের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে তারা শিক্ষা ও অধিকার পায়। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার রাজনীতি মানুষের জন্য, তিনি ক্ষমতায় থাকলেই দেশের পরিস্থিতি ভালো থাকে। আমরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে দিতে পারি না। আগামী নির্বাচন নিয়মের অধীনেই হবে। সংবিধানের বাইরে কোনো প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শেখ হাসিনার সরকার দরকার।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশিদ আলম বলেন, শিশুরা যদি পুষ্টি নিয়ে বেড়ে উঠতে না পারে, তাহলে জাতি গঠনে সেটি বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিতে পারে। এ জন্য পুষ্টির আওতায় নিয়ে আসার জন্য উপজেলা পর্যায়ে সেবা নিশ্চিত করতে শিশু সেন্টার চালু করছি।
ইবাংলা/এইচআর/১৯ মার্চ ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.