ঘরের মাঠে আইরিশ বোলারদের নিয়ে যেন ছেলেখেলায় মেতেছিল টাইগাররা। দীর্ঘদিন পর অর্ধশতকের দেখা পান ওপেনার লিটন কুমার দাস। লিটনের পরপরই ক্যারিয়ারের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। এ ছাড়া অভিষেকের ম্যাচে ফিফটির পর এই ম্যাচেও ফিফটির আশা জাগিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু নার্ভাস ৪৯-এ প্যাভিলিয়নে ফিরেন তিনি।
হৃদয় ফিরলেও শেষ দিকে ম্যাচজুড়ে তাণ্ডব চালান উইকেট-কিপার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এই ম্যাচের আগেই তার সামনে ছিল সাত হাজার রানের মাইলফলকে পৌঁছানোর হাতছানি। এই ক্লাবে পৌঁছাতে তার প্রয়োজন ছিল মাত্র ৫৫ রান। কিছুটা দেখেশুনেই তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এই ক্লাবে নামফলক বানালেন দেশসেরা এই উইকেট-কিপার ব্যাটার।
আরও পড়ুন>> মুশফিকের দ্রুততম সেঞ্চুরি, রেকর্ড সংগ্রহ টাইগারদের
তার এই মাইলফলকের পরপরই কট-বিহাইন্ড হয়ে হৃদয় ফিরলেও আগ্রাসী মনোভাব বজায় রাখেন মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ইনিংসের শেষ বলে অর্থাৎ ৬০ বলে হার না মানা ঝড়ো এক ইনিংস খেলেন তিনি। ১৪ চার ও দুই ছক্কায় অনবদ্য এই ইনিংস সাজান মুশফিক। তার সেঞ্চুরির কল্যাণে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩৪৯ রান, আর এটিই টাইগারদের দলীয় সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে, একই মাঠে টাইগারদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ৩৩৮ রান।
মুশফিকের আগে এতদিন বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০০৯ সালে বুলাওয়েতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। এবার সতীর্থ সাকিবের সেই রেকর্ড ৬০ বলে সেঞ্চুরি করে ভেঙে দিলেন মুশফিক। সেঞ্চুরির আগে ২৪৩ ম্যাচে ২২৮ ইনিংস খেলে সাত হাজারের মাইলফলকে পৌঁছান ২০০৬ সালে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হওয়া মুশফিক। এর মধ্যে ৯ সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪৩টি হাফসেঞ্চুরি করেছেন মুশফিক।
আরও পড়ুন>>বিয়ের আগেই অর্জুন-মালাইকা হানিমুনে
মুশফিকের আগেই এই ক্লাবে নাম লিখিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনিও আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচেই এ মাইলফলকে নাম লিখিয়েছেন। এই ক্লাবে ঢুকতে ২২৮ ম্যাচে ২১৬ ইনিংস খেলেন সাকিব।
এর আগে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাত হাজারি ক্লাবে পৌঁছেছিলেন কেবল টাইগারদের ওয়ানডে কাপ্তান তামিম ইকবাল। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই ক্লাবে নাম লেখাতে ২৩৫ ম্যাচে ২১৪ ইনিংস খেলেছিলেন তামিম।
মুশফিকের পরের স্থানে রয়েছেন আরেক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ১৯০ ইনিংসে করেছেন ৪ হাজার ৯৫০ রান তিনি। এ ছাড়া মোহাম্মদ আশরাফুল ৩ হাজার ৪৬৮, ইমরুল কায়েস ২ হাজার ৪৩৪, শাহরিয়ার নাফীস ২ হাজার ২০১, হাবিবুল বাশার ২ হাজার ১৬৮, আফতাব আহমেদ এক হাজার ৯৫৪ ও লিটন দাস এক হাজার ৯৪৫ রান করেছেন।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.