তিউনিসিয়া উপকূলে আবারও একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চলের শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাটি ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
রোববার একটি মানবাধিকার সংগঠনের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে ২ হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী পৌঁছেছে বলে জানায় দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনএসএ। শনিবারের এই এতসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী আসার ঘটনাকে রেকর্ড বলছে সংবাদ সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা
এএনএসএর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত চার দিনে দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর স্ফ্যাক্সের উপকূলে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহনকারী কমপক্ষে পাঁচটি নৌকা ডুবে যায়। এতে অন্তত ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নিখোঁজ ৬৭ জন। শনিবার তিউনিসিয়া উপকূলে নৌকাডুবিতে ১৯ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি শিশুসহ অন্তত ৩৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।
তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড এর আগে বলেছিল, তারা গত চার দিনে ইতালির দিকে যাওয়া প্রায় ৮০টি নৌকা থামিয়েছে এবং ৩ হাজারেরও বেশি লোককে আটক করেছে, যাদের বেশির ভাগই আফ্রিকার সাব-সাহারা অঞ্চল থেকে এসেছে।
আরও পড়ুন: ইফতারে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা
সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে তিউনিসিয়া অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর এখন পর্যন্ত ইতালিতে প্রবেশ করা অন্তত ১২ হাজার মানুষ তিউনিসিয়া থেকে এসেছে। গত বছরের একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল মাত্র ১ হাজার ৩০০।
এর আগে গত জানুয়ারিতে তিউনিসিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে শরণার্থীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়। সে সময়ও তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স উপকূলের লুয়াটায় নৌকাটি ডুবে যায়।
ইবাংলা/এসআরএস
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.