পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপি বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস শতকরা ৫০ ভাগই উত্থাপিত হয়নি। আমাদের আশেপাশে যেসব মুক্তিযোদ্ধা জীবিত আছেন তাঁদের গল্প শুনে চারঘাটের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস খুঁজে বের করতে হবে। চারঘাটের মুক্তিযোদ্ধাদের গৌরবময় ইতিহাস আছে, জাতির কাছে তা তুলে ধরতে হবে।
রবিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে চারঘাট উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার অসহায় প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ঋণ গ্রহীতাদের চেক বিতরণ এবং মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ১৯৭১ সালের ১৩ এপ্রিল চারঘাটের থানাপাড়া আক্রমণ করেছিল পাকিস্তানি ঘাতকগোষ্ঠী। দখলদারবাহিনী সেদিন থানাপাড়ার সকল পুরুষদের পদ্মাপাড়ে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছিল, নারীদেরকে বিধবা করেছিল। তিনি চারঘাটের মুক্তিযুদ্ধের আরও অনেক অজানা ইতিহাস মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য শিক্ষার্থীদের আহবান জানান।
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতাকে ব্যতিক্রমধর্মী ও শিক্ষণীয় একটি অনুষ্ঠান উল্লেখ করে এ কৃতিত্বের জন্য উপজেলা নির্বাহী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে চারঘাটের সকল ছাত্র-ছাত্রী অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে। এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ নিয়মিত পাঠদানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলে অতীতের চেয়ে বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা বেশি জানতে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সোহরাব হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: ফখরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রতিমন্ত্রী মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রশ্নোত্তর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী উপজেলার ৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৭৯ জন বিজয়ীকে পুরস্কার হিসেবে একটি করে বই তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপজেলার অসহায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে ২১ টি হুইল চেয়ার,পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ৫১ জন ঋণগ্রহীতাকে নগদ ২৩ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা এবং উপজেলার অসুস্থ ১১ জন রোগীকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
ইবাংলা/এইচআর/২ এপ্রিল ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.