বাংলাদেশের রেলওয়ে উন্নয়নে আরো বিনিয়োগ করতে আগ্রহী চীন, এ মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি আরো বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণে চীনের বিশাল অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। এ সময় রেলপথমন্ত্রী বলেন, চীন আমাদের অনেক বড় উন্নয়ন অংশীদার। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়েতে এখন পদ্মা সেতু রেল সংযোগসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।
আরও পড়ুন… ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে
বুধবার (৫ এপ্রিল) রেল ভবনে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইয়াও ওয়েন। এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত পাঁচ সদস্যের একটি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলওয়ে একসময় অবহেলিত ছিল। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে রেলওয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বঙ্গবন্ধু সেটি পুনঃস্থাপিত করেন। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা মন্ত্রণালয় করে দেন। তারপর থেকে রেলের উন্নয়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগব্যবস্থা প্রয়োজন। বর্তমানে ভারসাম্যপূর্ণ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যই রেলের উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন বাংলাদেশের রেল ব্যবস্থা ব্রডগেজ এবং মিটার গেজ দ্বারা বিভক্ত। আমরা পুরোটাই ব্রডগেজে রূপান্তর করার চিন্তা করছি এবং সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছি।
চীনের রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, চীনের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর পাশাপাশি পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় স্থাপনা নির্মাণের চীনের বিশাল অভিজ্ঞতা আছে। আমরা বাংলাদেশের সাথে উন্নয়নে একসাথে কাজ করতে আগ্রহী। রাষ্ট্রদূত এ সময় আরও বলেন, আমরা রেলওয়ের উন্নয়নে আরও বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।
আরও পড়ুন… বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক অংশীদার
চীনের অর্থায়নে অপেক্ষমাণ নির্মাণাধীন আখাউড়া-সিলেট এবং জয়দেবপুর-জামালপুর ডাবল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে নেগোসিয়েশন দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে তাগাদা দেন তিনি। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম হাই স্পিড লাইন নির্মাণ বিষয়ে তাদের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/এইচআর/৫ এপ্রিল ২০২৩
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়েছে.